লকডাউনের চতুর্থ দিন গতকাল শনিবারও নগরজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ দিন ১০ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৪১ মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মূলত স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও ডকডাউন উপেক্ষা করার অপরাধে এ জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের স্ট্যাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লকডাউন না মেনে দোকানপাট খোলা রাখা, দোকানের সামনে জনসমাগম করা, অযথা গাড়ি নিয়ে বের হওয়া, বেশি যাত্রী পরিবহন করা ও মাস্ক না পরার অপরাধে এসব জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, শনিবার নগরীর পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানা। তিনি ৭টি মামলায় ১৮শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোলা রাখা একটি বিপণী বিতান বন্ধ করে দেন এবং সতর্ক করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি মামলায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ টি মামলায় ১৮শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন নগরীর পতেঙ্গা ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ৬টি মামলা দায়ের করে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিংয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখেন। তাই কাউকে তিনি জরিমানা করেননি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ খুলশী, বায়েজিদ ও চাঁন্দগাও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি মামলায় ১৫শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি মামলায় ৮শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালান। তিনি ৪ টি মামলায় ২১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন নগরীর খুলশী বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ৭টি মামলায় ২৩শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। জেলা প্রশাসন জানায়, লকডাউন সফল করার লক্ষে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ও হুছাইন মুহাম্মদও নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তারা মানুষকে লকডাউন মানতে উদ্বুদ্ধ করেন এবং বিপুল পরিমাণ মাস্ক বিতরণ করেন।