মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করাসহ বিভিন্ন অপরাধে নগরীর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, বাড়তি দাম ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দণ্ড প্রদান ও পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
একজন কাস্টমারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়াসা মোড়ে কুটুম্ববাড়ী রেস্তোরাঁকে গতকাল ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করেছেন আদালত। মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকিকালে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ দুধ রাখায় বাঘঘোনা বাজারের সেলিম স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ মেয়াদোত্তীর্ণ দুধ ধ্বংস করা হয়েছে। লালখান বাজার হাইলেভেল রোডের লাইফকেয়ার মেডিসিন সেন্টারকে মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ বর্ণিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় বন্দর মেইন মার্কেটের বাহার সওদাগরের দোকানকে ১ হাজার টাকা, তাজু সওদাগরের দোকানকে ১ হাজার টাকা এবং ইউসুফ সওদাগরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ইপিজেড বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আল জিলানি স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে নিত্যপণ্য বিক্রি করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এপিবিএন–৯ এর সহায়তায় পরিচালিত অভিযানে টিসিবির ২০টি ট্রাকে হ্রাসকৃত মূল্যে পেঁয়াজ, মশুর ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়েছে। বাজার তদারকি কার্যক্রমসহ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।