নগরবাসীকে মশা থেকে বাঁচাতে যা করার সব করতে হবে

চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে বৈঠকে মেয়র মশার স্প্রে করার ক্ষেত্রে গাফিলতি করলে চাকরি থাকবে না

| শুক্রবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ডেঙ্গু ও কিউলেঙ থেকে জনগণকে বাঁচাতে মশা নিয়ন্ত্রণে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরবাসীকে মশার কামড় থেকে বাঁচাতে যা করার সব করতে হবে। প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ক্রয়, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও নতুন কৌশল খুঁজে বের করতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযান চালানোর ফলে নগরীর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে কিছুটা হলেও গতি এসেছে। তবে সামনে বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ড ভিত্তিক মনিটরিং চলবে। আমরা ইতোমধ্যে ১০০ পিস ফগার মেশিন এবং ১২০ পিস স্প্রে মেশিন কিনেছি। এছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বেশ কিছু ব্যাংক আমাদের অত্যাধুনিক ফগার মেশিন উপহার দিয়েছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা চলছে, তারাও জনগণের পাশে দাঁড়াতে ইতিবাচক। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসণে নালাখাল পরিষ্কারের জন্য ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ব্যাকহোলোডার গাড়ি সংগ্রহ করেছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জনগণকে মশার কামড় খেয়ে যাতে হসপিটালে আসতে না হয় কিংবা মৃত্যুবরণ না করে কিংবা তারা কোনো ডিস্টার্ব ফিল না করে এজন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

মশা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সম্পর্কে মেয়র বলেন, মশার ওষুধের যাতে কোনোভাবেই ঘাটতি না পড়ে। বর্তমানে দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার জীবনচক্র বদলে যাচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনে আপনারা নতুন ওষুধের সন্ধান করুন। আরো কোনো কোম্পানি যদি ভালো ওষুধের সন্ধান দিতে পারে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করবো। এ ব্যাপারে আমরা কোনো কম্প্রোমাইজ করতে চাই না। মশা নিয়ন্ত্রণে কিছু বিকল্পের কথা ভাবছি আমরা। মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে এমন মাছ, কীটপতঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে।

মেয়র আরো বলেন, যে সমস্ত পরিচ্ছন্ন কর্মী মশার স্প্রে করার ক্ষেত্রে গাফিলতি করছে তাদের চাকরি থেকে বের করে দিব। যারা সুপারভাইজার আছেন প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের আপনাদেরকে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই কেউ ফাঁকিবাজি করলে এটার দায়দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে। যদি আপনারা লুকাতে চান আমরা আল্টিমেটলি খবর পেয়ে যাব। প্রতিটি এলাকায় আমাদের লোকজন আছে। আমরা দরকার হলে নতুন লোক দিয়ে কাজ করাবো। আমি চাই কাজ হোক। কাজ হতে হবে।

না হয় জনগণ দুর্ভোগে পড়বে। জনগণ দুর্ভোগে পড়লে আল্টিমেটলি এটার দায়দায়িত্ব তো স্বাভাবিকভাবে আমাদেরকেই নিতে হবে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাকর্মচারীবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
পরবর্তী নিবন্ধড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মুর্তজা বশীর ও বায়ান্নর একুশে