ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা রয়েছে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও র্যাব সদস্য। নগরবাসীর নিরাপত্তায় বাড়তি থাকছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্স টিম (সোয়াট)। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন স্থানে সোয়াটের দুইটি দল টহল দিচ্ছে বলে জানান সিএমপি’র কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপ-কমশিনার (এডিসি) আহম্মেদ পেয়ার।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ঈদ জামাত ঘিরে বিভিন্ন পয়েন্টে দুইটি দল টহল দিচ্ছে। দুই দলে ১৬ জন সদস্য রয়েছে। ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন মাঠে থাকবে সোয়াট।
সিএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আরফাতুল ইসলাম বলেন, করোনার বাধা উপেক্ষা করে বরাবরের মতো এবারও অনেকেই শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাচ্ছেন। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সিএমপি কমিশনার ইতিমধ্যে সব ইউনিটকে ঈদের আগে-পরে এবং ঈদের ছুটিতে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও জবরদস্তি যেন না হয় সেজন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। পোশাকে টহল পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন রেখে নগরের প্রতিটি এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।-বাংলানিউজ
তিনি আরও বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বন্দরনগরীতে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকছে। বাড়িতে যাওয়া ও নগরে ফেরা মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের টহল, চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।
র্যাব-৭ সিপিসি-৩ এর স্কোয়াড কমান্ডার ও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা গণমাধ্যম সহকারী পুলিশ সুপার মো. রকিবুল হাসান বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে র্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ও আওতাধীন এলাকার মানুষের নিরাপত্তায় টহল দেওয়া হচ্ছে। ঈদে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। গরুর বাজারকে কেন্দ্র করে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জাল টাকার বিস্তার রোধে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারে, সেজন্য হাইওয়েতে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।