নকশায় আদালতের জন্য স্পেস থাকবে প্রধানমন্ত্রীর অফিসও

মিনি সেক্রেটারিয়েট ।। শুধু কোর্ট হিল নয়, সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে ।। হামিদ পর পরিদর্শনকালে জানালেন জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২২ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

চান্দগাঁও থানাধীন কর্ণফুলী নদীর তীরের হামিদ চরে প্রস্তাবিত ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে সাথে নিয়ে তিনি ওই এলাকায় যান।
এ সময় তিনি জানান, আপাতত নির্ধারিত ৭৫ একর জায়গার উপর প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। পরে প্রয়োজন পড়লে পাশ থেকে জায়গা অধিগ্রহণের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে। তিনি চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি অফিস রাখার পরিকল্পনার কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবগত আছেন। আমরা একটি সামারি করব। এরপর প্রধামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব। পদ্ধতিগত বা প্রক্রিয়াগতভাবে ধাপে ধাপে আমরা কাজ শুরু করব। পরিবেশের ক্ষতি যাতে না হয় এবং গুণগতমান যাতে ঠিক থাকে, সেটিও দেখা হবে। এখানে পরিবেশ অধিদপ্তরও তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করবে। সাধারণ মানুষ যারা এখানে সেবা নিতে আসবেন তাদের যাতে কোনো রকম সমস্যা না হয়, সেটি খুব ভালো করে দেখা হবে।

প্রকল্পের নকশায় যা থাকছে :
‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ প্রকল্পের জায়গা পরিদর্শনের সময় সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজমকে নকশায় কী কী থাকছে তা দেখানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জুডিশিয়ারি বা আদালতের জন্য নির্ধারিত স্পেস, প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি অফিস, নদীর তীরে একটি জেটি, মেলার জন্য স্পেস, সার্কিট হাউস, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, স্পোর্টস কমপ্লেঙ, কনভেনশন সেন্টার, শপিং মল, মাল্টি স্টোরেড কার পার্কিং, স্কুল-কলেজ, পরিবহন পুল, পেট্রোল পাম্প, স্মৃতিসৌধ, নভোথিয়েটার ও মসজিদ।
এদিকে হামিদ চর পরিদর্শনের সময় কোর্ট হিলে থাকা আইনজীবীদের ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেন, শুধু কোর্ট হিল নয়, যেখানে যেখানে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সবগুলোই উচ্ছেদ করা হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেন, কাউকে পেছনে ফেলা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। সকলকে সাথে নিয়ে সামনে যাওয়াই সরকারের উদ্দেশ্য।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শিডিউল অনুযায়ী হামিদ চর প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম নগরীর চট্টেশ্বরী রোডে থাকা এসিল্যান্ড অফিস পরিদর্শন করেন। এরপর দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পরিদর্শন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে বৈঠক করেন। জেলা প্রশাসন সূত্র আরো জানায়, হামিদ চর প্রকল্পের পরিবর্ধিত ও সংযোজনকৃত নকশা চলতি মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই শুরু হতে যাচ্ছে বিশাল হামিদ চর প্রকল্পের কাজ। যেখানে গড়ে তোলা হবে সর্বমোট ৪৪ টি সরকারি অফিস। সমন্বিত এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’। নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বন্দর মৌজার কর্ণফুলী নদীর তীরে জেগে উঠা হামিদ চরের ৭৫ একর জায়গার উপর নির্মাণ হবে সরকারের এ প্রকল্প। মূলত নগরীর চাপ কমাতে ও নাগরিকদের এক জায়গায় সব ধরনের সেবা দিতে উদ্যোগটি নেওয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধআত্মসমর্পণের পর প্রধান আসামি কারাগারে