নকল স্বর্ণের বারের ফাঁদ

৫ প্রতারক গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৭ জুন, ২০২১ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে আসল স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ, কয়েকটি নকল স্বর্ণের বার ও বার তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন তাজুল ইসলাম (৪২), নজরুল ইসলাম (৩৮), জামাল মিয়া (৩৮), কবির হোসেন (৩৮) ও রুবি বেগম (৩০)।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দীন আজাদীকে বলেন, নন্দনকানন শাহ আলী মার্কেটের কেয়ারটেকার জনৈক আবুল কালামের স্ত্রী একা বাসে চেপে গত ২০ জুন নোয়াখালী থেকে নগরীর কদমতলী এলাকায় পৌঁছান। সেখান থেকে রিকশাযোগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে নন্দনকানন স্বামীর কাছে আসছিলেন। রিকশাটি এনায়েত বাজার মোড়ে পৌঁছলে চালক রিকশা থামিয়ে রিকশার চেইন নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানায়। তখন ওই রিকশাচালক অপর একটি রিকশায় তাকে স্ত্রীকে তুলে দেয়। ওই রিকশাটি জুবিলী রোড টাওয়ার ইন হোটেল অতিক্রম করার সময় হঠাৎ থামায় চালক। দেখে সামনে প্যাকেটে মোড়ানো কিছু একটা আছে। সে রিকশা থেকে নেমে প্যাকেটটি তুলে নেয়।
আবুল কালামের স্ত্রী ঘটনা দেখে কৌতূহলের বশে চালককে কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসটি কী জানতে চাইলে চালক বলে, এর মধ্যে স্বর্ণের বার আছে। রিকশা চালক কৌশলে আবুল কালামের স্ত্রীকে কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণের বারটি রেখে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। আবুল কালামের স্ত্রী তার কাছে টাকা নেই জানালে রিকশা চালক বলে, তারা গরিব মানুষ, স্বর্ণের বার দিয়ে কী করবে। আবুল কালামের স্ত্রীর সাথে থাকা কিছু স্বর্ণালংকার ও কিছু টাকা দিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণের বারটি নেওয়ার জন্য বলতে থাকে। আবুল কালামের স্ত্রী ফাঁদে পা দিয়ে তার এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল এবং নগদ এক হাজার টাকা দিয়ে বারটি কিনে নেয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন আবুল কালাম। পরে একে একে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। হাজারি গলির একটি দোকান থেকে উদ্ধার করা হয় স্বর্ণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেক্সিযোগে ছিনতাই
পরবর্তী নিবন্ধপারিবারিকভাবেই তারা ইয়াবা ব্যবসায়ী