পিপিপির সঙ্গে জোট বেঁধে পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠনের পথে অগ্রসর হচ্ছে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল–এন)। তবে দলটির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নওয়াজ নয় বরং তার ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পিএমএল–এনের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব। খবর বিডিনিউজের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে মঙ্গলবার এক পোস্টে তিনি লেখেন, নওয়াজ শরিফ নিজে ছোট ভাই শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছেন। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। একই দিনে চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনেও ভোট হয়। বৃহস্পতিবারের জাতীয় নির্বাচনে পার্লামেন্টে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সেদিন পার্লামেন্টে ২৬৪টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২টি, পিএমএল–এন ৮০টি ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছে। বাকি আসনগুলো পেয়েছে অন্যান্য দল। পাকিস্তানে এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে পার্লামেন্টে অন্তত ১৩৪ আসন পেতে হয়। যেহেতু কোনো দল প্রয়োজনীয় আসন পায়নি তাই জোট সরকার গঠন করতে শুরু থেকেই পিপিপি এবং ১৭টি আসন পাওয়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট–পাকিস্তানের (এমকিউএম–পি) নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যায় পিএমএল–এন নেতারা।
গত রোববার লাহোরে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বাসায় দুই দলের নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুই দল জানায়, পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঐক্যমতে পৌঁছেছে তারা। তবে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন সে বিষয়ে সেদিন কিছু জানানো হয়নি।
এসব বিষয় নিয়ে সোম ও মঙ্গলবার পিপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। এরপর মঙ্গলবার বিলাওয়াল একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতা থেকে প্রত্যাহার করে নেন। বলেন, কেন্দ্রে পিএমএল–এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন তারা। তবে সরকারে থাকবেন না। কেন্দ্রে মন্ত্রিসভায় থাকার ইচ্ছাও নেই তাদের।
এদিকে, ইরমান খান সমর্থিত প্রার্থীরা পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি আসনে জিতলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এবং কোনো দল না থাকায় তারা সরকার গঠন করতে পারবেন না। পিএমএল–এ বা পিপিপিতে যোগ দেবেন না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতা ছেড়ে দিলেও বিলাওয়াল প্রেসিডেন্ট পদে তার বাবা আসিফ আলি জারদারিকে দেখতে আগ্রহী। পিপিপি সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল জিও টিভি এমন খবরই প্রচার করেছে। বলেছে, দলটি চারটি প্রদেশের সবগুলোতে গভর্নর পোস্টে নিজেদের প্রার্থীদের চায়।