নওফেল, রেজাউলসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছাত্র আন্দোলনে হামলা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। গত ২৮ জানুয়ারি ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন একই থানার মধ্যম চাক্তাই এলাকার মদন মিয়ার ছেলে মো. ইলিয়াছ। গত ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। গত শুক্রবার রাতে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলার বিষয়টি জানাজানি হয় গতকাল রোববার। মামলায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলা, বিস্ফোরণ, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। মামলার বাদী পেশায় একজন পিকআপচালক।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিজান চৌধুরীকে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং চসিক মেয়র ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুন রশিদ হারুন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন আকতার রুজি, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজম রনি প্রমুখ।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন আজাদীকে বলেন, মামলার বাদী মো. ইলিয়াছ আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন। আদালতে শুনানি শেষে মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানায় রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন পেট্রোল পাম্পের কাছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিকালে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে এবং গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলাকারীরা তাকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি তা প্রতিহত করেন। এ সময় তার ডান হাতের কবজির রগ কেটে যায় ও অন্যরা তাকে মারধর করে। হামলাকারীদের ভয়ে তিনি সেদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পেরে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। পরে ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ৮ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে ডাকাত সন্দেহে দুইজনকে গণধোলাই
পরবর্তী নিবন্ধউল্টো পথে এসে কংক্রিট মিক্সারবাহী গাড়ি নষ্ট