বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নগরীর লালদীঘি এলাকায় গুলিতে আহত হওয়ার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, দিদারুল আলম, এম এ মোতালেব ও যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ১৭৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে এক যুবক। তার নাম জানে আলম জনি। কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার পোমগাঁও এলাকার মো. বেলাল হোসেনের ছেলে তিনি। থাকেন নগরীর পাহাড়তলীর ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায়।
গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট–৬ আদালতে জানে আলম জনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আরজিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট আন্দরকিল্লা থেকে ছাত্র–জনতার সাথে তিনি মিছিল নিয়ে লালদীঘি মাঠ পার হয়ে জেলা পরিষদের সামনে আসেন। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাদের উপর গুলি, ককটেল, হাত বোমা নিক্ষেপ করেন। সেখান থেকে অন্যান্যদের ন্যায় তিনিও নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি জহুর হকার মার্কেটের দিকে যখন আসছিলেন তখন সামনে ও পেছন থেকে তার উপর গুলি করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। ছাত্র–জনতা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আন্দরকিল্লা হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা ফের গুলি করতে থাকেন। একপর্যায়ে হাসপাতালে না নিয়ে তাকে আমানত শাহ মাজার এলাকার আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। তার শরীরে এখনো অসংখ্য গুলির সিপ্রন্টার রয়েছে বলেও আরজিতে বলা হয়।
মামলার আরজিতে আরো বলা হয়, বাদী জানে আলম জনি জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত এবং স্বাস্থ্য কার্ডধারী যোদ্ধা হন। বাদীর আইনজীবী আবুল হোছাইন সিকদার দৈনিক আজাদীকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি রেকর্ড করেন এবং ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।












