ধ্বংস করা হল মাল্টাসহ নিলাম অযোগ্য ২১ কন্টেনার পণ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমস

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ at ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে বন্দরে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য মাল্টাসহ ৪৭২ টন পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে গতকালসহ মোট তিনদিনে ২১ কন্টেনারে আদা, পেঁয়াজ, মাল্টা, মেন্ডারিন এবং ড্রাগন ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস কার্যক্রমে সহায়তা করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কেএম কর্পোরেশন।

বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, নিলাম অযোগ্য পণ্য বন্দরের জন্য একটি বিশাল সমস্যা। অনেক সময় আইনি জটিলতায় নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করতে পারে না কাস্টমস। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে এসব কন্টেনারের জন্য জট লেগে যায়। নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের জন্য কাস্টমসে স্থায়ীভাবে একটা স্থান নির্ধারণ করা উচিত।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ২১ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে।

নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। অন্যদিকে আমদানিকারক যথাসময়ে পণ্যভর্তি কন্টেনার খালাস না করলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটে। এক্ষেত্রে পচনশীল পণ্যভর্তি কন্টেনার একটি বড় সমস্যা। খালাস না হওয়া এসব কন্টেনার শিপিং কোম্পানির জন্যও বিপদের। কারণ এসব কন্টেনারে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হয়। আমদানিকারক খালাস না নিলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ চাইলেও বিচ্ছিন্ন করা যায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরের আয়ের ভাগ আদায়ে চসিকের নতুন উদ্যোগ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরও ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত