চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য হিমায়িত মাছ, মাংস, আদা, রসুন ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরণের ২৩৫ টন পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন চট্টগ্রাম বন্দর রিপাবলিক ক্লাবের পিছনের খালি জায়গায় পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হয়। মোট ৩৬ কন্টেনারে এসব পণ্য চট্টগ্রাম কাস্টমস ধ্বংস কমিটির তত্ত্বাবধানে ধ্বংস কার্যক্রমে লজিস্টিক সরবরাহ করে সহায়তা করেছে মেসার্স কে এম কর্পোরেশন।
জানতে চাইলে কেএম কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে, আরো ৩৬ কন্টেনার নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্য ধ্বংস কার্যক্রমে আমরা লজিস্টিক সরবরাহ করেছি। এই ৩৬ কন্টেনারের মধ্যে গত ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালের কন্টেনারও ছিল। চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, আরো ৩৬ কন্টেনার নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের পাশাপাশি নিলামযোগ্য পণ্য নিলামের বিক্রি করছে। এতে বন্দরের ইয়ার্ড খালি হচ্ছে।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে।
অন্যদিকে আমদানিকারক যথাসময়ে পণ্যভর্তি কন্টেনার খালাস না করলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটে। এক্ষেত্রে পচনশীল পণ্যভর্তি কন্টেনার একটি বড় সমস্যা। খালাস না হওয়া এসব কন্টেনার শিপিং কোম্পানির জন্যও বিপদের। কারণ এসব কন্টেনারে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হয়। আমদানিকারক খালাস না নিলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ চাইলেও বিচ্ছিন্ন করা যায় না।