শুধুমাত্র ধর্মের ভালো কাজগুলো ও ভালো কথাগুলো অনুসরণ করলে নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি দ্বিধা–দ্বন্দ্ব কিছুই কাজ করত না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কঠিন চীবরও কিন্তু একটি ত্যাগ, এটি একটি ত্যাগের ব্যাপার। কষ্ট করে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি হয়। এটা এক ধরনের ধৈর্যের পরীক্ষা, ত্যাগের পরীক্ষা। প্রতিটি ধর্মেই কিন্তু ত্যাগের কাজগুলো আছে।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে ইপিজেড ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট প্যারোড গ্রাউন্ডে (সিমেন্স হোস্টেল) নগরের হিল চাদিগা বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক উপ কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ। সাধনাজ্যোতি মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে ত্রিপিটক পাঠ করেন কুমার ক্যাশব, ভিক্ষুপঞ্চশীল পাঠ করেন করুনাময় চাকমা।
আমীর খসরু বলেন, কঠিন চীবরের যে শিক্ষা সে শিক্ষা সকলের জন্য। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি কথা হল, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, ধর্ম যার যার নিরাপত্তা সবার, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আপনাদের শুধু ধর্ম নয়, একটি কৃষ্টি আছে, ভাষা আছে, সংস্কৃতি আছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চায় আপনাদের এ ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, অবশ্যই আপনাদেরকে এটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এটাই বাংলাদেশ। এখানে সবার কাজ সবাই করবে। অনেকগুলো রং মিশে রংধনু হয়, কিন্তু রংধনু একটাই, এরকম সবাই মিলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই বাংলাদেশের কথা বলছে।
খসরু বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে আপনাদের অনুষ্ঠান হচ্ছে কিন্তু একটা বিষয় আমাকে উজ্জীবিত করেছে, সেটা হচ্ছে আপনারা যে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পেরেছেন এটা গর্বের। এই শৃঙ্খলা সর্বক্ষেত্রে ধরে রাখতে পারলে আগামীর বাংলাদেশ আমাদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ হবে। তিনি বলেন, আপনাদের ধর্মের অনেক লোকজন এখানে আছে কিন্তু এখানে একটি বৌদ্ধ বিহার নেই, এটা অবাক ব্যাপার। আপনাদের কর্মকাণ্ড আমাকে উজ্জীবিত করেছে, আগামী দিনে সুযোগ পেলে এই এলাকায় ভবিষ্যতে বৌদ্ধবিহার দেখতে পাবেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর সরফরাজ কাদের রাসেল, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি রুবেল বড়ুয়া, বিএনপি নেতা রোকন মাহমুদ। সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রেষ্ঠ দেওয়ান এবং নিশু চাকমা। উপস্থিত ছিলেন প্রতিম বড়ুয়া ডালিম, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, তাপস বড়ুয়া, সুমন বড়ুয়া, সজল বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া, বিপ্লব বিজয় ও চয়ন বড়ুয়া।