প্রতিটি সিগারেটের প্যাকেটে স্পষ্ট করে লেখা থাকে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ধূমপান ক্যান্সারের কারণ। তারপরও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ধূমপায়ীর সংখ্যা। ধূমপান ফুসফুস, যকৃত, গলা, মূত্রনালী, পরিপাকতন্ত্রসহ মানব শরীরে মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনে। ধূমপায়ীদের জন্য এসব বিষপান রূপ ধারণকরে। মাদকাসক্তদের অধিকাংশই ধূমপানের পথ ধরে এগুতে এগুতে নেশায় জড়িয়েছে। এক্ষেত্রে অসৎ সঙ্গের প্রভাব বেশ লক্ষ্য করা যায়। ধূমপানের ক্ষতিকর দিক জানার পরও অনেককে যত্রতত্র সিগারেটে সুখটান দিতে দেখা যায়। গণপরিবহন, অফিস-আদালত, শপিংমল, রাস্তাঘাট এমনকি পাবলিক টয়লেটসহ বিভিন্ন স্থানে ধূমপানের বাস্তব চিত্র হরহামেশায় দেখা মেলে। বাংলাদেশ সরকার ২০০৫ সালের প্রণীত আইন অনুযায়ী জনসমাগমস্থলে অর্থাৎ প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে ৫০ টাকা জরিমানার বিধান কার্যকর করেছিল। সেটি ২০১৩ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ’ আইনের সংশোধনী এনে জরিমানার পরিমাণ ৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়। ২০১৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ’ বিধিমালা প্রকাশিত হয়। এসব আইন থাকা সত্ত্বেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ মাঠপর্যায়ে না থাকায় ধূমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন। অকালমৃত্যু, মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে এবং আগামী প্রজন্মকে মাদকমুক্ত সমাজ উপহার দিতে সরকারকে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মাদক আইন’ বাস্তবায়নে কঠোর হতে হবে।
মাহমুদুল হক হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
ঢাকা কলেজ,ঢাকা।