আগামী ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ধার করে টাকা এনে তা দিয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নীতি তার কর্মকৌশলে নেই।
গতকাল মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। আগামী ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরের বাজেট বর্তমান বাজেটের চেয়ে আকারে ছোট হবে কিনা? সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি অর্থ উপদেষ্টা। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, বাজেট কেমন হবে সেটা সময় হলেই জানতে পারবেন। মোটামুটি বাজেটটাকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের গ্যাপ বা ঘাটতি রেখে আমরা করবো না। বাস্তবসম্মত এডিপি বাস্তবায়ন করবো। ধার করে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো না। বাজেটে কিছুটা ঘাটতি তো থাকবেই কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে যাবো না। এনবিআরের রাজস্ব বিভাগ ও নীতি বিভাগে পৃথক হওয়া প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এনবিআর কর্মকর্তাদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত রেখেই এটা করা হয়েছে। নীতি বিভাগ ছোট একটা বিষয়। এনবিআরকে দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। টার্মস অফ রেফারেন্স অনুযায়ী এনবিআরটা যেভাবে আছে সেভাবেই থাকছে। আন্তর্জাতিক চর্চা হল–নীতি বিভাগ আর প্রয়োগ বিভাগ এক থাকে না।
তার মতে, নীতি বিভাগ ‘একটু’ পেশাদার লোক দিয়ে কাজ করতে হয়। অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, দেশের জিডিপি এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। এনবিআর সেটাকে প্রয়োগ করবে। এখন এনবিআরের যদি পলিসি নিয়েও কাজ করতে হয় তাহলে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টও থাকে।
আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে এমনটি করা হলেও এক্ষেত্রে এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা।‘সুচিন্তিতভাবে এটা করা হয়েছে। এনবিআরের সদস্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণদের সঙ্গে আলাপ করে এটা করা হয়েছে।’
রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, এখন যে পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে তা গতবারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। হতাশ হওয়ার কিছু নাই। রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে কম হবে না।
বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১২টি ক্রয়প্রস্তাব উত্থাপন হওয়ার পর ১০টি অনুমোদন করা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গানভর সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে টিসিবির জন্য প্রতি লিটার ১৬১ টাকা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল ক্রয়।