তুরস্কের ফামাগুস্তা তার্কিশ মারিফ স্কুল ভলিবল দলের সদস্য (বালক ও বালিকা আলাদা দল) এবং শিক্ষকসহ সেখানে মোট ৩৯ জন ছিলেন; যারা ভূমিকম্পের সময় আদিয়ামান নগরীর ইসিয়াস হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
গত সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সাততলা ওই হোটেল ধসে পড়লে তাদের সবাই চাপা পড়েন। এরইমধ্যে সেখান থেকে দুই শিক্ষক এবং অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো চারজন ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিজেরাই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানায় বিবিসি।
এদিকে ঠান্ডায় জমে যাওয়া আবহাওয়ার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে কিংবা গাড়ির ভেতরে তৃতীয় রাত পার করেছে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বহু মানুষ। সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত আর কাউকে উদ্ধারের আশাও ক্ষীণ হয়ে আসছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা গতকাল বেড়ে হয় ১৬,৫৪৬। আর প্রায় ১২ বছরের গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছে ৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ। দুই দেশে মৃতের সংখ্যা সব মিলিয়ে ১৯ হাজার পেরিয়ে গেছে।
অপর এক খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পের কারণে অ্যানাটোলীয় এবং আরবীয় টেকটনিক প্লেটের মধ্যে ২২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যুতিরেখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে তুরস্ক তার আগের ভৌগোলিক অবস্থান থেকে ১০ ফুট দূরে সরে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন এক ভূবিজ্ঞানী।
ইতালির ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কার্লো ডগলিয়োনি আবার দাবি করেছেন, টেকটনিক প্লেটগুলির সঞ্চালনের কারণে তুরস্ক প্রায় ২০ ফুট পশ্চিমে সরে গিয়েছে। তবে এটি প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডগলিয়োনি। তার মতে, আগামী দিনে উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে এই ছবিটি আরও স্পষ্ট হবে।