সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে বাঁশখালী ইকোপার্ক সড়কের কাঠের ব্রিজটি ভেঙে গেছে। এতে পাঁচদিন ধরে পার্কে যেতে পারছেন না পর্যটকেরা। একইসাথে বাঁশখালী প্রধান সড়ক থেকে ইকোপার্ক পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটিরও বেহাল দশা এখন। এতে সড়কের উপর নির্ভরশীল স্থানীয়দেরও যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কাঠের ব্রিজটি তো ভেঙেছেই, পার্কের দীর্ঘ সাড়ে তিন কিলোমিটারের পুরো সড়কটির অবস্থাও এখন নাজুক। প্রধান সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত অভ্যন্তরীণ এ সড়কের দুপাশ ভেঙে গেছে। বড় বড় খানাখন্দ এখানে–সেখানে। তার ওপর সড়কটি সরু ও সংকুচিত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের যানবাহনগুলো প্রবেশ করতে পারে না। অনেক সময় বিরক্তি নিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন দূর–দূরান্ত থেকে আসা অনেক পর্যটক।
পার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পার্কের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়কে পার্ক থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাঠের ব্রিজটি ভেঙে যাওয়াতে পর্যটক পৌঁছাতে পারে না। দীর্ঘপথ হেঁটে যেতে হয় পার্কে। এর আগেও কাঠের ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় অস্থায়ীভাবে তক্তার বদল হয় কিন্তু স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ হয় না। সড়কের বিশাল অংশ ধসে পড়ায় ইকোপার্কের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এখন। ফলে পার্কে আগত দর্শনার্থী ও এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অন্ত নেই। এর ফলে ইকোপার্কের ইজারাদারও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ইসরাঈল হক জানান, বাঁশখালী ইকোপার্ক সড়কটির মেরামতের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে পার্কের অদূরে কাঠের ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় পার্কের সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ নির্মাণের জন্য বলা হলেও কোনো কাজ করা হয়নি। যোগাযোগ চালু রাখার জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়া কাঠের ব্রিজটি সাময়িকভাবে মেরামত করা হচ্ছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে। পার্কের সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন, যা অচিরেই কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি জানান।