ধসে পড়ছে নদীরক্ষা ব্লক, আবারও ভাঙন ঝুঁকি

রাঙ্গুনিয়ার ভূমিরখীল

জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া | রবিবার , ৪ মে, ২০২৫ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ভূমিরখীল গ্রামে কর্ণফুলী নদী ভাঙন রোধে দেয়া সিসি ব্লক ধসে পড়তে শুরু করছে। গোডাউন ব্রিজ থেকে পূর্বদিকে আড়াই কিলোমিটার পর্যন্ত বাঁধের মধ্যে বিভিন্ন স্পটে এক কিলোমিটার পর্যন্ত অংশে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। এতে আগামী বর্ষায় ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে পাড়ের বাসিন্দাদের। নদী ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সরফভাটা ভূমিরখীল এলাকায় নদীরক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে পড়ছে। কোথাও ফাঁকা হয়ে গেছে, কোথাও ব্লক ধসে ভেতরের সাদা কার্পেট বেরিয়ে গেছে। কোথাও একেবারে ধসে গিয়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এই অবস্থায় স্থানীয়দের মাঝে নতুন করে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। তাদের দাবিধসে যাওয়া ব্লক সংস্কারে যেনো দ্রুত ব্যবস্থা নেয় সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়রা জানান, একসময়ের নদী ভাঙনকবলিত এলাকা ছিলো ভূমিরখীল গ্রাম। ভাঙনে গ্রামটির দুই তৃতীয়াংশ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। পূর্ব সরফভাটা থেকে গোডাউন পর্যন্ত নদীরক্ষা ব্লক স্থাপনের পর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায় অবশিষ্ট এলাকা। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এসব ব্লক নানা কারণে ধসে পড়তে শুরু করছে। এক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ড গ্রামটির আজিম মেম্বারের ঘাটা এলাকায় ত্রিশ মিটার এবং ইউসুফ আলীর বাড়ির সামনে ৪০ মিটার অংশ জরুরি সংস্কার করে। কিন্তু এর বাইরে আরও একাধিক স্পটে ব্লক ধসে পড়ায় সামনের বর্ষায় ভাঙন ঝুঁকিতে দিন কাটছে পাড়ের বাসিন্দাদের।

নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান জানান, পূর্ব সরফভাটা থেকে গোডাউন ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার ব্লকের মধ্যে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্পটের এক কিলোমিটার ব্লক ধসে গেছে। কর্ণফুলীতে পানি বেড়ে যাওয়ার পর স্রোতের টানে ব্লকগুলো নেমে যাচ্ছে। এছাড়া নদী ড্রেজিংয়ের ফলে পাড়ের বালি সরে গিয়ে গভীর হয়ে যাওয়ায় এই ধস হচ্ছে। এই নিয়ে স্থানীয়রা সমপ্রতি মানববন্ধনও করে। কিন্তু যা সংস্কার হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকাচট্টগ্রামের বিভিন্ন কার্যালয়ে আবেদন দিয়েছেন জানিয়ে তিনি জরুরি সংস্কারের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, সরফভাটা ভূমিরখীল এলাকা দিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অংশে মেরামত করা হয়েছে। বাকী অংশগুলো মেরামতের জন্য আমি নিজে দেখে এসেছি, আমাদের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। আশাকরি যেখানে যেখানে ব্লক ধসে গেছে সেখানেও দ্রুত মেরামত হয়ে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবির্জাখাল খনন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে মহানগরী জামায়াতের আমীর
পরবর্তী নিবন্ধঅবশেষে অতীশ দিপংকর হল উন্মুক্ত হলো শিক্ষার্থীদের জন্য