হাটহাজারী ধলই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে ঘটে গেছে তুঘলকি কাণ্ড! গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করা হয় বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীরের নাম। কিন্তু সেই মনোনয়ন টিকেছে মাত্র ৭ ঘণ্টা! এরপর ঘোষণা করা হয় মোহম্মদ আলমগীরকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি ভুল ছিল। মূলত নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বর্তমান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরীকেই। তবে যে শাহনেওয়াজ চৌধুরীকে নিয়ে এই নাটকীয় ঘটনা তিনি বলছেন, মনোনয়ন বোর্ডের এক বিশ্বস্ত সূত্রে আমি জানতে পারি আমাকেই মনোনয়ন দিয়েছে দল। কিন্তু যখন অফিসিয়ালি দেখি-আমাকে নয়, মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীরকে। তখন আমি স্বাভাবিকভাবে একটু হতাশ হয়ে পড়ি। আমি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তৃণমূলের রাজনীতি করে তিলে তিলে নিজেকে গড়ে তুলেছি। ৮০ এর দশকে জামায়াত-শিবিরের মামলা হামলার শিকার হয়েছি। জীবনের সুন্দর সময়টাও কারাগারে কেটেছে। বিনিময়ে দলের কাছে কিছুই চাইনি। এলাকাবাসীর চাপে আমি এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন চাই। কিন্তু সেখানে যখন বঞ্চিত হয়েছি, তখন আমার শেষ ভরসাস্থল ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমি বিকেলে ওনাকে হোয়্যাটস অ্যাপে ম্যাসেজ দিই। তখন আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরছিলাম। চট্টগ্রাম ফিরে রাত ১০টার দিকে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানালেন- আমাকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। যে বিশ্বাস ও আস্থা আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপর রেখেছিলাম, তিনিও আমার ওপর একই আস্থা রেখেছেন এটি আমার জন্য অনেক গৌরবের। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে অনেকবার দেখা হয়েছে। তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের তিনি সবসময় মূল্যায়ন করেন। আমাকে মনোনয়ন দিয়ে তিনি আবারও সেটি প্রমাণ করলেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ঘোষিত তফসিল মতে আগামী ২৮ নভেম্বর হাটহাজারী উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।