বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ধর্ষণের পর এক নারীকে গলা ও হাত পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরে ঐ নারীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া কানের দুল বেচতে গিয়ে ধরা পড়েছে মো. মারুফ (২৬) নামের এক যুবক। গতকাল শনিবার স্বর্ণের একটি দোকানে কানের দুল বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে তাকে আটকের পর গণধোলাই দিলে খুনের ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে বাইশারীতে বিলেরপাড় থেকে গরু আনতে গিয়ে তৈয়বা বেগম আর ফিরে আসেননি। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে গিয়ে বিলের পাড়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তার গলা ও হাতের কবজি ছিল কাটা, মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। তৈয়বা বেগম কানে দুল পরা থাকলেও লাশ উদ্ধারের সময় দুল পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এখন সেই দুলের সূত্র ধরেই ধরা পড়ল অভিযুক্ত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হান কাজেমী জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়রা মারুফ নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। লাশের সুরতহাল তৈরির পর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
