চারদিক থেকে এখন কেবল ভেসে আসছে ধর্ষিতার হাহাকার আর ধর্ষকের উল্লাস। কোনমতেই যেন এই ধর্ষণ থামানো যাচ্ছে না। একের পর এক বেরিয়ে আসছে রোমহর্ষক ঘটনা।দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। এরই মধ্যে সরকার আইন করেছে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। কিন্তু তাতেও কি থামছে ধর্ষণ? বলা হচ্ছে এই ধর্ষকদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলে নারীকে খুঁজতে হবে এমন একটি উপায় যা তাকে রক্ষা করতে পারে। আর সে উপায় হতে পারে কারাতে। সুস্থ সুন্দর মন ও সুন্দর সমাজ গঠনে কারাতের ভূমিকা অপরিহার্য। বাহুতে বল আর মনের জোর এক হলে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়া সম্ভব। আর এই কারাতে হতে পারে নারীর নিজেকে বাঁচানোর সেরা একটি পন্থা।
গত কয়দিন ধরে নানাজন নানাভাবে ধর্ষণের প্রতিবাদ করলেও এবার ব্যাতিক্রমী এক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করল বাংলাদেশ কিক ফাইটার কারাতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। গতকাল সিআরবিতে ধর্ষককে শায়েস্তা করার জন্য মেয়েদের খালি হাতে আত্মরক্ষার কৌশল শেখান বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের কারাতে কোচ সেন্সী এবি রনি। প্রায় ২০০ ছাত্র ছাত্রী নিয়ে সিআরবি খোলা মাঠে আত্মরক্ষা ও ধর্ষককে ঘায়েল করার জন্য কিছু কৌশল প্রদর্শন করে কারাতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। উক্ত প্রদর্শনী শেষে ধর্ষক মুক্ত সমাজ চাই এমন শ্লোগানে মুখরিত হয় নগরীর সিআরবি এলাকা।
কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী ও বয়স্ক কারাতে খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটাই দাবি করে। আর তা হচ্ছে ধর্ষকের কোন পরিচয় নেই, ধর্ষকের পরিচয় হলো সে একজন ধর্ষক। ধর্ষক প্রমাণিত হওয়া মাত্রই তাকে ক্রসফায়ার বা তাৎক্ষনিক মৃত্যুদন্ড দন্ডিত করা হোক।
‘থামিয়ে দাও নারীর দিকে নোংরা লোভের থাবা, তুমিও হবে একদিন কোন মেয়ের বাবা’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কিক ফাইটার কারাতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ঘোষণা করে আমরা আর কোন মা-বোনের ইজ্জত হারা সমাজ দেখতে চাই না। মেয়েরা প্রতিবাদ করতে শিখছে তারাই নিজ হাতে ধর্ষক ঘায়েল করবে। আর সে ঘায়েলের প্রধান অস্ত্র হতে পারে কারাতে। যা দিয়ে একজন নারী শুধু নিজেকে নয়, তার পাশের মেয়েটাকেও রক্ষা করতে পারবে ধর্ষকের কালো থাবা থেকে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এক কন্ঠে বলে গর্জে উঠো সকল মা জাতীয় দল, তৈরি করো নিজেকে, হিংস্র হায়নার কাছে আর নয়, এবার নিজেকে করবো জয়।