জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, তারুণ্যের শক্তিকে জাগ্রত করতে দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ মেলার আয়োজন। জুলাই বিপ্লবে তরুণরা সে সাহস দেখিয়েছেন, যে স্বপ্ন নিয়ে তারা দীর্ঘদিনের ফ্যাসিজমকে বিতাড়িত করেছে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনা যেন ভুলে না যাই। ন্যায় ভিত্তিক, বৈষম্যহীন ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য তরুণদের এই আত্মত্যাগ। ধর্ম বর্ণ বিভেদ না করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
গতকাল সোমবার বোয়ালখালী গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তারুণ্যের মেলা উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে শহীদ ওমরের কবর জেয়ারত ও শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন তিনি। এ অনুষ্ঠানে ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহতদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসার সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সালমা ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুমন তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ, বোয়ালখালী আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন জাহিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার, ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহিদ ইঞ্জিনিয়ার ওমরের মা রুবি আকতার ও আহত মো. শাকিল।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাওলানা মো.ইমতিয়াজ, গীতা পাঠ করেন শিক্ষার্থী অর্ণব সিকদার ও ত্রিপিটক পাঠ করে রিমেল বড়ুয়া। এর আগে রঙিন বেলুন উড়িয়ে মেলা এবং ফিতা কেটে স্টলসমূহ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। এছাড়া শহীদ ওমরের কবরস্থান সংরক্ষণ ও পৌরসভার ৬টি সড়কের ফলক উন্মোচনসহ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন।
মেলায় ১২টি স্টলে উদ্যোক্তারা নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনী এবং ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের চিত্র প্রদর্শনী তুলে ধরেন। গত ৩০ ডিসেম্বর বর্ণাঢ্য আয়োজন মধ্যে ৫২ দিনব্যাপী এ তারুণ্যের উৎসব শুরু হয়।