চরমোনাই পীর আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া ঈমানি দায়িত্ব। আমাদের সব মুসলিম নারী–পুরুষকে এ ব্যাপারে উদারতার পরিচয় দিয়ে ইসলামের সুমহান দিককে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, মানুষ যত গুণাহ থেকে বেঁচে থাকবে তার কলব (আত্মা) তত ঠিক থাকবে, আর যার কলব ঠিক থাকবে সে সমাজের অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকবে। কলব নষ্ট হয়ে গেলে তার দ্বারা সব অপকর্ম সম্ভব।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাদে জোহর বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড ময়দানে তিনদিন ব্যাপী ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়। ১ম দিনে উদ্বোধনী বয়ানে চরমোনাই পীর আমিরুল মুজাহিদিন আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি না মেনে খুনি হাসিনা সরকার নির্বিচারে পাখির মতো গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ দেখে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ ও ছাত্র–ছাত্রীদের সঙ্গে কওমি শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সুন্দর একটি বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশা করছে দেশবাসী। তিনি বলেন, খুনি হাসিনাসহ সকল হত্যাকারী, বিদেশে অর্থপাচারকারী, দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে। পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বিগত জালেম সরকারের নির্বাচন কমিশনে জড়িতদের বিচার করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই মাহফিল ৫ জানুয়ারি বাদে ফজর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বয়ান পেশ করবেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নায়েবে আমির আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাপরিচালক আল্লমা খলিল আহমদ কাসেমী, পটিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আবু তাহের নদভী, জামিয়াতুন নুরের মহাপরিচালক আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযাহ, খতিবুল উম্মাহ মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী কুয়াকাটা, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ আজাদী, তরুণ মুফাচ্ছির মুফতী রেজাউল করীম আবরার, নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজি প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।