আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) মূল লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানের সঙ্গে নৈতিকতার সমন্বয় ঘটিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশাত্মবোধ, মানবতাবোধ, সততা, বিজ্ঞানমনস্কতা, দক্ষতা এবং জীবনধর্মীতা সৃষ্টি করা। যাতে ধর্ম ও বিজ্ঞানের আলোকে তারা আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। গতকাল শনিবার নগরের চকবাজার বালি আর্কেড কপার চিমনিতে সাংবাদিকদের সম্মানে আইআইইউসির ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী। তিনি বলেন, আইআইইউসি সর্বপ্রথম চট্টগ্রামে সাফল্যের সাথে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে এখন অসংখ্য মেধাবী ছাত্র–ছাত্রীর প্রথম পছন্দ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষা প্রদান সারাদেশে একটা বিপ্লব সাধন করেছে। আইআইইউসি এই বিপ্লবের প্রথম সারির অংশীদার।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, একটা দম বন্ধ করা পরিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে মুক্তির আনন্দ নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে পারছি। তাই শুরুতেই এই মুক্তির মহানায়ক জুলাই বিপ্লবের শহীদদেরকে পরম মমতা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। উপাচার্য বলেন, ১৯৯৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু লুটেরাদের কবলে পড়ে সারাদেশের মত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও অবরুদ্ধ ছিল। সারাদেশের ব্যাংক, হাসপাতাল, শিল্প প্রতিষ্ঠানের মত এই বিশ্ববিদ্যালয়ও দখলের শিকার হয়।
জানা গেছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের অধীনে ১৪টি বিভাগ রয়েছে। ৩৬৮ জন সার্বক্ষণিক শিক্ষকসহ ৪৮৩ জন শিক্ষক এখানে অধ্যাপনায় রয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫ জন শিক্ষক পিএইচডি ডিগ্রিধারী। সমৃদ্ধ অবকাঠামো আইআইইউসির একটি উল্লেখযোগ্য দিক। প্রায় ৫০ একর জমির উপর নিজস্ব ক্যাম্পাসে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষের অধিক বর্গফুট জায়গায় ৪২টি ভবনে আইআইইউসি’র শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান শিক্ষার্থী–সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এর মধ্যে চীন, নেপাল, শ্রীলংকা, নাইজেরিয়া, সোমালিয়ার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি ছাত্রও রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও চেয়ারম্যান ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য প্রফেসর আহসান উল্লাহ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, রেজিস্ট্রার কর্নেল মোহাম্মদ কাসেম পিএসসি (অব.), দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহেদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মোসতাক খন্দকার।