ধর্ম অনুশীলনে মানুষের অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়

পেকুয়ায় ধর্ম উপদেষ্টা

| মঙ্গলবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ধর্ম অনুশীলনে মানুষের অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়। ধর্মীয় ভাবাপন্ন হলে মানুষের মন কলুষমুক্ত হয়। গতকাল সোমবার পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া বাজারে নবনির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ পবিত্র ও উত্তম স্থান, যত বেশি মসজিদ নির্মিত হবে তত বেশি মুসল্লী তৈরি হবে। মানুষ যত বেশি নামাজের দিকে ধাবিত হবে সমাজ তত বেশি অপরাধমুক্ত হবে। নামাজ মানুষকে সব ধরনের গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখে। মুসল্লিবিহীন মসজিদ কেয়ামতের লক্ষণ উল্লেখ করে তিনি মসজিদকে আবাদ রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। খবর বাসসের। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মডেল মসজিদকে কেন্দ্র করে বিশাল কর্মযজ্ঞ আবর্তিত হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশ ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মডেল মসজিদ অনন্য ভূমিকা রাখবে। এই মসজিদ থেকেই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের বার্তা ছড়িয়ে পড়বে। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যপূর্ণ দেশ। এদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সব ধর্মের মানুষের অবদান রয়েছে। তিনি বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তুলতে দুর্নীতির মানসিকতা পরিহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পেকুয়া উপজেলা মডেল মসজিদটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে নির্মাণ করেছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। স্থাপনাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এ মডেল মসজিদে একসঙ্গে ৯৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। এরমধ্যে আলাদা প্রবেশপথসহ ১২০ জন মহিলার নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এ মসজিদে পুরুষ, মহিলা, অক্ষম ও বয়স্কদের ওযু ও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিসসহ ইমাম প্রশিক্ষণ, হজযাত্রী নিবন্ধন, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, অটিজম কর্নার, এতিমখানা, মৃতদেহ গোসল, ইসলামিক লাইব্রেরি ও ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া, এখানে সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের আবাসন ব্যবস্থাসহ গেস্ট রুম, কনফারেন্স রুম ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক আ. ছালাম খান, চট্টগ্রাম গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একিউএম শাহজালাল মজুমদার ও কঙবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসাইন সজীব ও মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌসউজজামান। পরে উপদেষ্টা পেকুয়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের ফলক উন্মোচন করেন এবং সেখানে মোনাজাতে অংশ নেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় দুই জনকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণ