রাউজান উত্তর গুজরা ডোমখালী গ্রামে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে কনফিডেন্স গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান, লায়ন্স জেলার প্রাক্তন গভর্নর লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়া বলেন, বাংলা ভাষার আদি উৎস পালি ভাষার প্রকৃত বাংলা অর্থ হৃদয়ঙ্গম করে জীবন যাপন করলে আগামী প্রজন্ম আলোকিত জীবনের অধিকারী হয়ে সুনাগরিক হিসেবে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারবে। তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘদের প্রতি অনুরোধ জানান, পালি ভাষায় ধর্মদেশনা করার সাথে সাথে তা যেন বাংলা অনুবাদসহ সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বুঝিয়ে দেন। কারণ সাধারণ মানুষ পালির প্রকৃত অর্থ বুঝেনা। পালির প্রকৃত অর্থ বুঝে যদি তা পালন করে সেটিই হবে যথার্থ শিক্ষা। তিনি ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি জোর দিয়ে বলেন, ছোটকাল থেকে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে জীবন ধারণ করলে সেই মানুষ কখনো নীতি ভ্রষ্ট হয়না, অন্যায় অসঙ্গতিপূর্ণ জীবনের প্রতি আকৃষ্ট হয় না। তারা সৎ মানুষ হিসেবে সমাজে অনন্য ভূমিকা রাখে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের জন্মস্থান রাউজানের উত্তর গুজরা ডোমখালী গ্রামে গত ১৮ নভেম্বর কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের, প্রধান সদ্ধর্ম দেশক ছিলেন সংঘরাজ ভিক্ষু মহামণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক বিপুলসেন মহাথের, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া, রাউজান কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও বিনাজুরী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সুকুমার বড়ুয়া, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সংঘরাজ ভান্তের জীবনী গ্রন্থ লেখক শিক্ষক প্রশান্ত কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি মহিলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ববি বড়ুয়া। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন, বিহারাধ্যক্ষ সুমেধানন্দ মহাথের, ধর্মদেশনা করেন শ্রীলংকা থেকে আগত ধীরানন্দ থের ও ধর্ম রক্ষিত থের। স্বাগত বক্তব্য দেন, বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত বড়ুয়া। বক্তব্য দেন, উদযাপন পরিষদের কার্যকরী সভাপতি মোহন লাল বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৌদ্ধ সমিতি যুব’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়া। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ সংঘরাজ ড. শীলানন্দ মহাথের, উপ সংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাথের, উপ সংঘরাজ প্রিয়দর্শী মহাথের। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।