মোহাম্মদ দিদারুল আলম এমপি বলেছেন, আধ্যাত্মিক জীবন চর্চার মহাতীর্থপীঠ শঙ্কর মঠ ও মিশন। এ মঠের বর্তমান অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা প্রচারের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে নিরলস সাধনা করে যাচ্ছেন। ধর্ম চেতনা ও ধর্মবোধ মানুষকে সত্য সুন্দরের পথে পরিচালিত করার ফলে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার দূরীভূত হয়। এখানে মঠ-মন্দির শুধু ধর্ম চর্চার সাধনা করে না। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি ও সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। ধর্মবোধ মানুষকে ন্যায়ের শিক্ষা দিয়ে সভ্য করেছে। গতকাল রোববার শঙ্কর মঠের অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজের ৬৭তম আবির্ভাব উৎসবের সনাতন ধর্ম সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার মজুমদার বলেন, অন্ধাকারাচ্ছন্ন পথ থেকে উত্তরণের জন্য মনুষ্যত্বের সাধনা করাই হলো গীতা শিক্ষা। গীতার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে পারলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে।
শঙ্কর মঠ ও মিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মঠের অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন অদুল-অনিতা ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের কো-চেয়ারম্যান অনিতা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম অরবিন্দ সোসাইটির চেয়ারম্যান রতন ভট্টাচার্য। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তী। আলোচক ছিলেন সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী মিঠু, সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ সাঈদ, গৌতম অধিকারী, নিতাই দে নিতাই, দুলাল দে, মিলন কান্তি শর্মা, সুলাল কান্তি চৌধুরী, সমীর কান্তি পাল, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, অধ্যাপক বনগোপাল চৌধুরী, মাস্টার অজিত শীল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রনজিৎ কুমার মল্লিক, প্রকৌশলী সুবল চন্দ্র শীল, অজিত কুমার শীল প্রমূখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।