দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে বছর শেষ করল পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল পাকিস্তান। ওয়ান্ডারার্সে শেষ ওয়ানডেও জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করল রিজওয়ানরা। ঘরের মাঠে এই প্রথম কোনো ওয়ানডে সিরিজে সব ম্যাচ হারল প্রোটিয়ারা। বৃষ্টিতে ৪৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ৩৬ রানে। সাইমের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান করে সফরকারীরা। পরে হাইনরিখ ক্লসেনের ঝড়ে কিছুটা আশা জাগালেও ৫ ওভার বাকি থাকতেই ২৭১ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন সাইম। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সিরিজে দুই সেঞ্চুরিতে ২৩৫ রান করে সিরিজ সেরার স্বীকৃতিও পান বাঁহাতি ওপেনার।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দারুণ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারেই ফেরেন আব্দুল্লাহ শাফিক। আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও রানের খাতা খুলতে পারেননি পাকিস্তানের ওপেনার। চতুর্থ ওভারে বৃষ্টি নামলে কমে যায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য। দ্বিতীয় উইকেটে সাইম ও বাবর মিলে যোগ করেন ১১৫ রান। ৫৪ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন বাঁহাতি ওপেনার। তিন অঙ্ক ছুঁতে আর মাত্র ৩৭ বল লাগে সাইমের। এর আগেই ফিরেন বাবর আজম। ৬৪ বলে ফিফটি করে বেশি দূর যেতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৫২ রানে থামে তার ইনিংস। রিজওয়ানকে নিয়ে ৭৫ বলে ৯৩ রানের জুটি গড়েন সাইম। ৯৪ বলে ১৩ চার আর ২টি ছক্কায় সেঞ্চুরি পুরন করেন মারেন সাইম। ৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৩ সেঞ্চুরিতে তার সংগ্রহ ৫১৫ রান। রিজওয়ান থামেন ৫২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে। ওপরের ব্যাটসম্যানদের দেওয়া ভিতে শেষটা দারুণ করেন আগা সালমান, তৈয়ব তাহির। দুজনের ৪৭ বলের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৭৪ রান। সালমান ৩৩ বলে ৪৮ ও তৈয়ব ২৪ বলে ২৮ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাদা নেন ৩ উইকেট। রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। তিন নম্বরে নেমে রাসি ফন ডার ডাসেন চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এইডেন মার্করাম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলের একশ হওয়ার আগেই ১৯ রানে ফেরেন মার্করাম। আর ২০তম ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরা ফন ডার ডাসেন করেন ৫২ বলে ৩৫ রান। ডেভিড মিলারও হতাশ করলে মাত্র ১২৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। পরে মার্কো ইয়ানসেনকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন ক্লসেন। ৪৭ বলে দুজন গড়েন ৭১ রানের জুটি। যেখানে ইয়ানসেনের অবদান কেবল ১৩ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৯ বলে ফিফটি করেন ক্লসেন। শেষ পর্যন্ত ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ বলে ৮১ রান করেন ক্লসেন। শেষ দিকে কর্বিন বশ অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমান।