চট্টগ্রাম চেম্বারের বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, দীর্ঘ ষোল বছর পর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা যখন গণতান্ত্রিক পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, ঠিক তখনি স্বার্থান্বেষী মহলের গভীর চক্রান্তে চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। তারা ‘মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত টাউন ও ট্রেড গ্রুপের ৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল কার্যকর করে’ দ্রুত সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান মহি উদ্দীন এবং প্যানেল লিডার এস এম নূরুল হক। বক্তারা বলেন, নির্বাচনের প্রতিপক্ষ ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের আপিলের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চেম্বার নির্বাচনে আগামী ২ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। তারা বলেন, ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের ভূয়া ট্রেড ও টাউন গ্রুপের ৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য আমরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করি। মহামান্য হাইকোর্ট আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ জনের প্রার্থিতা স্থগিত ঘোষণা করে এসোসিয়েট গ্রুপ থেকে ৬টি এবং অডিনারি গ্রুপ থেকে ১২টি সর্বমোট ১৮টি পদে নির্বাচন করার আদেশ প্রদান করেন। আমাদের প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা নির্বাচনে স্থগিতাদেশ চেয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট স্থাগিতাদেশ প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. কামরুল হুদা, মোহাম্মদ আইয়ুব, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, এস. এম. কামাল উদ্দিন, এটিএম রেজাউল করিম, আহমেদ রশিদ আমু, আহমেদ–উল আলম চৌধুরী (রাসেল), ইমাদ এরশাদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইমরান এফ. রহমান, মো. আবচার হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আজিজুল হক, মোহাম্মদ রাশেদ আলী ও মোহাম্মদ মুছা।












