আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে না বাড়িয়ে এটিকে স্থায়ী করতে যাচ্ছে সরকার। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ২০০২ সালে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন করার সময় এর মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরে কয়েক ধাপে আইনটির মেয়াদ দুই–তিন বছর করে বাড়ানো হয়। আইনটির মেয়াদ ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হবে। আইনটিকে স্থায়ী আইন হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখন থেকে আর এর মেয়াদ বাড়াতে হবে না। খবর বিডিনিউজের।
সবশেষ দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়িয়ে সংসদে বিল পাস হয় ২০১৯ সালের ৯ জুলাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল ‘আইন–শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) (সংশোধন) বিল– ২০১৯’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাস হওয়ায় আইনটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
২০০২ সালে যখন দ্রুত বিচার আইন প্রথম সংসদে পাস হয়, সে সময় এ আইনের মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরে দফায় দফায় এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন। এ আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনের মামলার বিচার চলে। দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।