করোনা প্রতিরোধে ৫-১১ বছরের (১২ বছরের কম বয়সী) শিশুদের টিকা প্রয়োগে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে আগেই। এরইমধ্যে এই প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগামী ১১ আগস্ট রাজধানী ঢাকায় পরীক্ষামূলক এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাযক্রম শুরু হতে পারে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। এই বয়সী শিশুদের ফাইজারের বিশেষ ধরনের টিকা প্রয়োগ করা হবে। টিকা পেতে এই বয়সী শিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করতে হবে। তাই যাদের এখনো জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
শিক্ষার্থীদের টিকাদানে করণীয় বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও বেশ কয় দফা নির্দেশনা জারি করেছে। শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধনে শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। গত রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে : ১. বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জানাবেন ও দ্রুততার সঙ্গে নিবন্ধনের অনুরোধ জানানোসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবেন।
২. যেসব ৫-১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্মনিবন্ধন (১৭ ডিজিট) নেই, তাদের জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।
৩. সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা স্ব-স্ব ক্লাস্টারের আওতাধীন বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও তদারকি কার্যক্রম হাতে নেবেন।
৪. উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা তার আওতাধীন উপজেলার শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধন কার্যক্রমের অগ্রগতি দৈনিকভিত্তিতে তদারকি করবেন। কোনো সমস্যা থাকলে সমাধানের চেষ্টা করবেন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
৫. বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা সার্বিক বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তত্ত্ববধান করবেন ও তার আওতাধীন অধিক্ষেত্রে টিকা নিবন্ধন ও টিকাদান ব্যবস্থাপনা সুসম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। পাশাপাশি সবধরনের সহায়তা দেওয়াসহ সার্বিক সমন্বয় কার্যক্রম হাতে নেবেন।