দীর্ঘদিন অকার্যকর থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। এরমধ্যে ঢাকসু, রাকসু ও জাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় চবির শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচন নিয়ে সরব হয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে বৈঠক করেছে। চাকসু নীতিমালা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে দফায় দফায় বসেছে। এরপর একটা চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। নীতিমালাটি আগামীকাল চবির সিন্ডিকেট বৈঠকে পাস করা হবে। এরপর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। মানববন্ধনে আইন বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, জুলাইয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন শহীদ হয়েছে তা আপনারা জানেন। চবিতে আমাদের দুজন ভাই শহীদ হয়েছেন। সবার আগে চাকসুর তফসিল ও নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো চাকসুর নির্বাচন নিয়ে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। অথচ ডাকসু, রাকসু ও জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও চবির নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে, সেখানে চাকসু নিয়ে প্রশাসন একেবারেই নীরব। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন রোডম্যাপ নয়, তফসিল ঘোষণা চাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন আজাদীকে বলেন, চাকসু নিয়ে আমরা ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে অনেকবার বসেছি। একটা খসড়া চাকসু নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। শুক্রবার সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। সেই সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।