দ্রুত এগুচ্ছে নির্মাণ কাজ

চট্টগ্রামের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ।। ডিসেম্বরেই উদ্বোধনের সম্ভাবনা, সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে চট্টগ্রামের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নির্মাণ কাজ। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মালিকানাধীন নগরের আগ্রাবাদ সিঙ্গাপুরব্যাংকক মার্কেটের এক লাখ ১০ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গায় এই পার্ক গড়ে তুলছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। আগামী ডিসেম্বর মাসে পার্কটি উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি গড়ে উঠলে আইসিটি (তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি) খাতে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে চট্টগ্রাম। দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে এ পার্ক। একইসঙ্গে সিটি কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করবে। চসিক সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এতে ব্যয় হচ্ছে ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ১১ মার্চ পার্কটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এর আগে এই পার্ক স্থাপনে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই সিটি কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওই) স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার নিয়োগ করে। পার্কটি নির্মাণ শেষে সেখান থেকে অর্জিত লভ্যাংশ সিটি কর্পোরেশন ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হবে। মূলত, সিঙ্গাপুরব্যাংকক মার্কেটের পঞ্চম থেকে দশম ফ্লোরে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানপাট থাকবে। বাকি ফ্লোরগুলোতে গড়ে তোলা হবে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। গতকাল বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফ্লোর তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। গ্লাস ফিটিং করছেন শ্রমিকরা। এছাড়া চলছে আলাদা লিফট স্থাপনের কাজ।

অবকাঠামো তৈরির কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আশরাফুল হক আজাদীকে বলেন, আমরা পাঁচটি ফ্লোরের অবকাঠামোগত কাজের দায়িত্ব পেয়েছি। ইতোমধ্যে ফ্লোরগুলো রেডি করে ফেলেছি। এখন সেখানে ইন্টেরিয়রের কাজ করছি। আশা করছি, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করে ফেলব। এরপর হয়ত অল্প কিছু প্যাচওয়ার্কের কাজ বাকি থাকবে। সেগুলোও মাসখানের মধ্যে শেষ করে ফেলতে পারব।

চসিকের আইটি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান আজাদীকে বলেন, এক লাখ স্কয়ার ফিট ফ্লোরে হবে এ পার্ক। বর্তমানে আইটি সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ছড়িয়েছিটিয়ে আছে। আইটি ভিলেজ হলে সেখানে এ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কম মূল্যে বরাদ্দ পাবে। তাদের জন্য নানা সুযোগসুবিধা থাকবে। তিনি বলেন, অবকাঠামোগতভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর সিটি কর্পোরেশন ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন পার্কটি কিভাবে পরিচালিত হবে এবং কারা সেখানে বরাদ্দ পাবেন।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ছাড়াও গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট জেলায় কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্কের কাজ চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘রক্তাক্ত ও কণ্টকাকীর্ণ পথ তাকে দমাতে পারেনি’
পরবর্তী নিবন্ধ২৬৩ দোকানের মধ্যে ২০৩টিরই ভ্যাট ফাঁকি