সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে বলে আবারো সংসদে বিষয়টি তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলের সদস্যরা। জবাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন। গতকাল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাণিজ্য সংগঠন(সংশোধন) বিল, ২০২৩ এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা এ অভিযোগ করলে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
আলোচনায় গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, কাচা মরিচ, আলু বিদেশ থেকে আসে না। এ সবের সংকট ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের কারণে হওয়ার কথা নয়। গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত থাকার পরেও আলুর দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। কারণ একটাই এখানেও সিন্ডিকেট। এই সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বহুবার সিন্ডিকেটের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, অর্থনীতি ভালো নেই। কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ সন্দেহ নেই। গরিবদের সুরক্ষার সময় এখন, সুরক্ষার জন্য অর্থ এই মন্ত্রণালয়কে দিতে হবে।
উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাকে অনেক সময় ব্যবসায়ী, সিন্ডিকেটের হোতা এসব বলা হয়। সে কারণে এই পার্লামেন্টে আমাকে বহুবার বলতে হয়েছে, ব্যবসা করার অনেক আগে থেকেই আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেক মনোপলি ব্যবসাদার বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ায় এটা সত্য। তবে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে যে পরিস্থিতি, মুক্তবাজার অর্থনীতি, বৈশ্বিক ভাবে দাম বেড়েছে সে দিকেও আপনাদের নজর দিতে হবে। সাপ্লাই ঠিক না থাকলে দাম বাড়ে। আমরা আজকে ডিমের দাম বেঁধে দিয়েছি, যদি সেটা তারা না মানে তবে অবিলম্বে ডিম আমদানি করা হবে।