বাজারে জিনিসপত্রের দামের উত্তাপে দিশেহারা দেশের নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। এবার তাদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরা ভুগেছেন সমানভাবে। বিগত ২০২১ সালে শুরু হয়েছিল নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি দিয়ে এবং শেষও হয়েছে দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। এ জন্য গত বছরটাকে অনেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বছর বলে আখ্যায়িত করেছেন। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ-রসুন, আদা, আলু এসব জরুরি নিত্যপণ্যের দাম গত বছর ছিল লাগামহীন। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর কমে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এ ব্যাপারে কাজ করলেও তা তেমন কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নামে একটি সংস্থা রয়েছে; কিন্তু তাদের কার্যক্রমও তেমন লক্ষণীয় নয়।ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও বাস্তবে তারা ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ কতটুকু করছেন তা সর্বসাধারণের বিচার্য। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সারাদেশে ৪৫০টি পয়েন্টে এখন ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত সবাই পণ্য পান না। দুই-তিন ঘণ্টা দাঁড়ানোর পরও কেউ কেউ ফিরে যান খালি হাতে। কারণ পণ্য সীমিত। গ্রাম ও শহরাঞ্চলের প্রান্তিক ও শ্রমজীবী মানুষ যাতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে, সেজন্য নিত্যপণ্যের দাম যেমন স্থিতিশীল রাখতে হবে। তেমনি তাদের আয় বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আসে, সেদিকে তাকিয়ে আছে মানুষ। লেখক: শিক্ষক