বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম ইসলামের প্রবেশদ্বার। আরবের দাঈগণ এই অঞ্চল দিয়ে এদেশে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেন। তারা শুধু মানুষকেই আপন করে নেননি, এই দেশকেও আপন করে নিয়েছেন। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য হলো উদারতা ও সাহসিকতা। আল্লাহর দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে আমাদের কারো পরোয়া না করে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের উপর যে গুরু দায়িত্ব এসেছে, তার ফসল আমাদেরই ঘরে তুলতে হবে। দ্বীনের যাবতীয় কাজ খালেছ নিয়তে সম্পাদন করতে হবে। দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জনের দিকে গুরুত্ব বাড়াতে হবে। কোরআনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, যেন তা জ্ঞানের প্রধান উৎস হয়। পাণ্ডিত্য অর্জনের জন্য নয়, বরং আমলের উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রত্যেককে তার ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষা নিতে হবে। আল্লাহর কাছ থেকে উপকারী জ্ঞান কামনা করতে হবে। তিনি গত ২০ মে চট্টগ্রাম অঞ্চল দায়িত্বশীল সমাবেশে সাফা আর্কেড কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দায়িত্বশীল সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভূঁইয়া ও মুহাম্মদ জাফর সাদেক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা আমীর আলাউদ্দিন শিকদার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম আজাদ, নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা নায়েবে আমীর মুফতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ ও অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, রাঙামাটি জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, উত্তর জেলা সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা সেক্রেটারি মনছুরুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান, বান্দরবান জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল আউয়াল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।