দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন মাত্রিকতা

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১৫ জুন, ২০২৪ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

অতিসম্প্রতি ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন সুসম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন ইতিমধ্যে সুস্পষ্ট রূপ পরিগ্রহ করেছে। ৯ জুন নতুন সরকারের প্রধান চার মন্ত্রণালয়ে পূর্ববর্তী সরকারের মন্ত্রীরাই পুনঃনিয়োগ পেয়েছেন। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত থেকে শপথ অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মর্যাদা ছিল অপরিসীম। বিভিন্ন আলাপআলোচনা এবং সম্মানিত অতিথিরূপে তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত গৌরবদীপ্ত। এটি সকলের জানা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামমহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ভারত সরকারজনগণের অকুন্ঠ সমর্থনসাহায্যসহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ চির ঋণী। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনাব নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায় আরোহণ নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বাংলাদেশের সরকার গঠনের ধারাবাহিকতায় ভারত সরকারের সাথে সৌহার্দসম্প্রীতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নবতর মাত্রিকতায় প্রত্যাশিত।

দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উভয় দেশের বিদ্যমান সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতিম উভয় দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদারের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুই দেশে একই সরকারের ধারাবহিকতা থাকায় পারস্পরিক সম্পর্কের মাত্রা আরও সুদৃঢ় হয়ে উভয় দেশের মানুষের উপকৃত হওয়ার আশা ব্যক্ত করা হয়। এটিও সত্য যে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বিজেপি সরকারকে এবার শরিকদের ওপর নির্ভর করে চলতে হবে। অন্যান্য দলের সমর্থনে গঠিত জোট সরকার কতটুকু সফল হবে তা দেখার বিষয়। যদিও ভারতের জোট সরকারের ইতিহাস তেমন সুখকর নয়। তাই এক দশকে বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে কর্তৃত্ব দেখা গেছে নতুন সরকারে তা হয়তো নাও থাকতে পারে।

ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়, জোটের রাজনীতির চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির যাত্রা গত এক দশকের মতো মসৃণ না হলেও বৈদেশিক নীতিতে তা খুব প্রভাব ফেলবে না। ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে নয়াদিল্লি পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল উপাদান হিসেবে ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতি গ্রহণ করে। এই নীতি অনুযায়ী ভারত এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। এছাড়াও ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল কংগ্রেস অতীতের তুলনায় অনেক ভাল ফলাফল করেছে। তাদের ধারাবাহিক উত্থান অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। ফলশ্রুতিতে এক দশক পর ভারতের লোকসভায় বিরোধী দলীয় নেতার আসন পূরণ হতে যাচ্ছে। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নয়াদিল্লি ও ঢাকা উভয়েরই নিরাপত্তাঅর্থনৈতিক স্বার্থ বিদ্যমান। বাংলাদেশের বিষয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য নীতিগত পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ মোদির শরিকরা নিজেদের রাজ্যকেন্দ্রিক চিন্তা করনে, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে তেমন নয়। কোনো কিছুই মোদির পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত হবে না। ভারতীয় সংস্থাগুলোও সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। ভারতকে একটি উদীয়মান বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরার বিষয়ে বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে খুব বেশি মতবিরোধ নেই।

এটি সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশভারত সম্পর্ক অত্যন্ত নিগূঢ়তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশভারত সম্পর্ক এখন এতটা মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে; যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে প্রতিভাত। বিশেষ করে উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বস্বীকৃত বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞামেধাদৃঢ়চেতা নেতৃত্বে বাংলাদেশভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের উর্ধ্বে সমাসীন। মূলতঃ স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক দৃঢ়তা প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। সেদিন ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৫ সালে এ বিষয়ে স্বাক্ষর হওয়া নতুন চুক্তির আওতায় রয়েছে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত হাটসহ আরো কিছু বাণিজ্য সম্পর্কিত চুক্তি। ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশভারতের সম্পর্ক সমৃদ্ধ এবং সহযোগিতার নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়।

উক্ত সফরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদী বন্ধুত্বশান্তিসহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু গঙ্গা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক নদীর সুষম পানি বন্টন ও ছিটমহল হস্তান্তরের প্রশ্ন উত্থাপন করেন। ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল ও সীমানা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কিছু অতিরিক্ত ভূমি ছেড়ে দেয়ার জন্য তিনি ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ও শক্তিশালী ভূমিকার জন্য ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে ফারক্কা বাঁধসংক্রান্ত অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শুষ্ক মৌসুমে ভারত ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার কিউসেক পানি প্রত্যাহার করবে এবং বাংলাদেশ পাবে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি। যেটির ওপর ভিত্তি করে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে ফারাক্কার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ১৯৯৬২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশভারত দুই দেশের সম্পর্কের অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়। দীর্ঘসময় ধরে পানি সংক্রান্ত সমস্যা গঙ্গা পানি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আস্থার নতুন পর্যায় তৈরি হয়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুগান্তকারী ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি’ সম্পাদনে ভারতের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছাড়া তা সম্ভব হতো না বলে বিজ্ঞজনদের ধারণা।

২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট সরকারের জয়লাভের ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে নবতর অধ্যায় সূচিত হয়। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় দেশের সম্পর্ক আরও জোরালো রূপ ধারণ করে। দুই দেশ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বহু বিষয়ে মতৈক্য পোষণের প্রেক্ষিতে সন্ত্রাসবিরোধী এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত সহযোগিতার ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। উল্লেখ্য সফরে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখন্ডের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য ট্রানজিট সুবিধা, ভারতকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুবিধা, সীমান্ত সমস্যা সমাধানে সম্মত, বাংলাদেশ কর্তৃক ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং ভারত কর্তৃক এক মিলিয়ন ডলার ঋণদান বাংলাদেশভারত সম্পর্কের মেলবন্ধন সুদৃঢ় হয়। ২০১৪ সালে শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ এবং শপথবাক্য পাঠের অনুষ্ঠানে অন্যতম আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশভারতের বন্ধুত্ব আরও প্রাণবন্ত হয়। ২০১৪ সালে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর করে সম্পর্ক উন্নয়নে ভিসা, বিদ্যুৎ, মৈত্রী এক্সপ্রেস, বাস চলাচলসহ ৬টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন।

২০১৫ সালের জুনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি স্বাক্ষর সম্পর্কের সোনালী রূপরেখা হিসেবে বিবেচ্য। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে ৬৮ বছরের স্থলসীমান্ত সমস্যার সমাধন দুই দেশের বন্ধুপ্রতিম সম্পর্কের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং ৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুই দেশের সরকার প্রধানদের এক ভার্চুয়ালি বৈঠকে জ্বালানি, সামাজিক উন্নয়ন, কৃষিসহ ৭টি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মাধ্যমেও বাংলাদেশভারতের মধ্যেকার সম্পর্কে উচুমাত্রিকতার সেতুবন্ধন নির্মিত হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় এই সফরটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বতাৎপর্যপূর্ণ। সফরকালীন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানিবন্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা, সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পায়। স্বাক্ষরিত হয় সাতটি সমঝোতা স্মারক। বিপর্যস্ত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ডলার সংকটকালীন বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেন সহজ করতে এবং ব্যয় সাশ্রয়ে বিকল্প মুদ্রা চালু ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে রুপিতে লেনদেনের যুগে প্রবেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন দৃষ্টান্ত দৃশ্যমান করে।

উভয় দেশের গণতন্ত্রসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিমানবতান্যায়বিচার প্রতিষ্ঠানানামুখী সংকট উত্তরণে জোরদার কূটনৈতিকরাজনৈতিক দৃঢ় মনোভাবঅনুপ্রেরণা উচুমার্গের মোড়কে উদ্ভাসিত হবে নিঃসন্দেহে তা দাবি করা মোটেও অমূলক নয়। চলতি মাসেই উভয় রাষ্ট্রের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীদের সফরের বার্তা অধিকতর অনুপ্রেরণার বিষয় হয়েছে। অমীমাংসিত যেসব সমস্যা রয়েছে ক্রমান্বয়ে তারও সমাধান বিশেষভাবে বিবেচ্য। আশা করা যায় তিস্তাসীমান্ত হত্যারোহিঙ্গা সমস্যাভারসাম্য বাণিজ্য উন্নয়নে বিনিয়োগবন্দর ব্যবহারজঙ্গী দমনসহ সকল আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহ প্রাধান্য পাবে। দুই দেশের শিক্ষাস্বাস্থ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং অপব্যবহার প্রতিরোধে উভয় দেশের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ জরুরি। সামগ্রিক বিবেচনায় সহজেই অনুমেয় যে, বিরাজিত সকল আর্থসামাজিক সংকট ও নানাবিধ দুর্যোগ মোকাবেলায় দুই রাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতা অধিকতর উন্নততর পর্যায়ে পৌছুবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় দুই গ্রুপে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১