বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে টানাপড়েন এবং মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের ওপর শাস্তিমূলক উচ্চ শুল্কের আবহে তৃতীয়বারের মতো ফোনালাপ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই নেতা ভারত–যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন। পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ধারাবাহিকভাবে জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতীয় পণ্যে জরিমানা–সহ ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারত এই শুল্কের বোঝা থেকে রেহাই পেতে চাইছে। খবর বিডিনিউজের।
সেই প্রেক্ষাপটেই আবারও ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ফোনালাপ হল। এ আলাপে দুই দেশের বাণিজ্যচুক্তির বরফ গলল কিনা বা নয়াদিল্লি শুল্কে বোঝার নাগপাশ মুক্ত হতে চলেছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি। তবে টেলিফোন আলাপের পর এক্স হ্যান্ডলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে পোস্ট করেছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের উষ্ণ সম্পর্কের আভাস মিলেছে। এক্স এ মোদী লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে খুবই উষ্ণ, গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একাধিক বিষয় নিয়ে সবিস্তারে কথা হয়েছে। ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ঘটতে থাকা একাধিক ঘটনা আমরা পর্যালোচনা করেছি। আগামী দিনে বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখতে একযোগে কাজ করবে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা–সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা সমপ্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেছেন মোদী এবং ট্রাম্প। জানুয়ারি থেকেই ভারতের সঙ্গে বহু কোটি ডলারের বাণিজ্য–সমঝোতা যত দ্রুত সম্ভব সেরে ফেলার কথা বলে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে একাধিক দফায় আলোচনার পরেও তা বাস্তবায়িত করা যায়নি ওয়াশিংটনের দাবি মেনে নয়াদিল্লি রুশ জ্বালানি কেনা বন্ধ না করায়। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে যায়। পাশাপাশি কৃষি–সহ একাধিক ক্ষেত্রে যে পরিমাণ বাজারের দখল এবং বাণিজ্যিক সুযোগ–সুবিধে চাইছে ওয়াশিংটন, তা খুলে দিতে রাজি নয় নয়াদিল্লি। সেই জটে থমকে রয়েছে চুক্তি।












