মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কন্সটেবল রুবেল শর্মাকে দ্বিতীয় দফায় আরো পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪ (টেকনাফ) এ হাজির করা হলে বিচারক তামান্না ফারাহ রুবেল শর্মাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, “মেজর সিনহা হত্যা মামলার আরও তথ্য জানতে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের সহযোগী ও মামলার অন্যতম আসামী রুবেল শর্মাকে সকালে আদালতে হাজির করে ৮ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার রুবেল শর্মাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করব।”
তিনি জানান, এর আগে রুবেল শর্মাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। রিমান্ডে তার কাছ থেকে সিনহা হত্যা মামলা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে কিন্তু আরো তথ্য পাওয়ার জন্য তাকে আবারও রিমান্ড প্রয়োজন। তাই পুনঃ রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
তথ্য মতে, সিনহা হত্যা মামলার ১৪ আসামির মধ্যে সর্বশেষ আসামি হিসেবে সংযুক্ত হয় রুবেল শর্মা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
কথিত আছে সাবেক কন্সটেবল রুবেল শর্মা কারাগারে থাকা টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪ (টেকনাফ)-এর বিচারক তামান্না ফারাহ রুবেল শর্মার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২ অক্টোবর তাকে রিমান্ড হেফাজতে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত মেজর (অব.) সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে একই আদালতে মামলাটি করেন। পরে আরও পাঁচজনকে আসামি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়।