সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই শুরু হচ্ছে কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টিউবের নির্মাণ কাজ। আনোয়ারার দিক থেকে টানেলের দ্বিতীয় টিউবের কাজ শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া প্রথম টিউব থেকে ১২ মিটার দূর দিয়ে দ্বিতীয় টিউব নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চীনের সাংহাই শহরের আদলে চট্টগ্রামকেও ওয়ান সিটি টু টাউন হিসেবে গড়ে তোলা, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়া, কর্ণফুলী নদীর দক্ষিন পাড়ের বিস্তৃত জনপদকে শহরের মূল স্রোতে নিয়ে আসাসহ বিভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে শুরু হওয়া কর্ণফুলীর তলদেশের বঙ্গবন্ধু টানেলের দুইটি টিউবের একটির নির্মাণ কাজ মাস চারেক আগে সম্পন্ন হয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)। ৮০ কিলোমিটার স্পিডে বছরে ৬৩ লাখ থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ গাড়ি চলাচলের সক্ষমতায় নির্মিত টানেলটির প্রথম টিউব নির্মাণের পর আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে দ্বিতীয় টিউবের কাজ শুরু হচ্ছে। ৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার মুল টানেলের সাথে উভয় প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে। নদীর তলদেশে এর গভীরতা হবে ১৮ থেকে ৩১ মিটার। প্রতি টিউবে দুই লেনে গাড়ি চলাচল করবে। ১০ দশমিক ৮ মিটার বা ৩৫ ফুট চওড়ার টিউবের উচ্চতা ৪ দশমিক ৮ মিটার বা প্রায় ১৬ ফুট।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় টিউবের কাজ শুরু করতে চাচ্ছি। আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে আনোয়ারার দিক থেকে টিউব নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রথম টিউবের মতো দ্বিতীয় টিউবও স্থলভাগ থেকে নদীর দিকে যাওয়ার সময় ধীরে ধীরে মাটির গভীরে যাবে। নদী থেকে উপকূলে ওঠার সময় ধীরে ধীরে উঠে আসবে। মাটির ১৮ মিটার থেকে ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে যাবে টিউব। ফলে কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ চলাচল কিংবা প্রবাহে এই টানেল কোনো প্রভাবই ফেলবে না। প্রধানমন্ত্রীর ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এই মেগা প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিতর দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।