আগের ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পেয়েছেন দুটি উইকেটও। কিন্তু তাতেও ভাগ্য বদলায়নি তার দল ডাম্বুলা সিক্সার্সের। টানা দুই ম্যাচে হেরে গেছে তারা। পাল্লেকেলেতে গতকাল লংকা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) ম্যাচে জাফনা কিংসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ওপেনার কুশল পেরেরার সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ১৯১ রান করে ডাম্বুলা। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জাফনা। এই হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই পড়ে রইল ডাম্বুলা। আগের ম্যাচে ক্যান্ডির বিপক্ষে ৩ ওভারে ৪৪ রান খরচে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। আর গতকাল ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইকোনোমি রেট ৭.৫০। মোস্তাফিজের ফর্মে ফেরার দিনে ব্যাটিংয়ে সুযোগ পাননি আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়। তার দল ডাম্বুলা উইকেট হারিয়েছে মাত্র ২টি। ফলে তাকে নামতে হয়নি। ফিল্ডিংয়ে অবশ্য পয়েন্ট অঞ্চল থেকে সরাসরি থ্রোতে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাবে রান আউট করেন তিনি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ডাম্বুলার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৮ রানের সময় আউট হন ওপেনার দানুসকা গুনাথিলাকা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে নুয়ানিন্দু ফান্দার্দোর সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি গড়েন কুশল পেরেরা। নুয়ানিন্দু ফেরেন ৪০ রান করে। এরপর মার্ক চাপম্যানের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ৬৫ রানের জুটিতে সেঞ্চুরি তুলে নেন পেরেরা। ৫২ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১০ট চারের পাশাপাশি তিনি হাঁকিয়েছেন ৫টি ছক্কা। আর চাপম্যান অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩৩ রানে। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জাফনার। পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় দলটি। প্রথম ওভার করতে এসেই ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর ইনিংসের ১৭তম ওভারে চারিথ আসালাঙ্কাকে আউট করেন এই বাঁহাতি পেসার। কিন্তু আভিস্কা ফান্দার্দোর ৩৪ বলে ৮০ ও আসালঙ্কার ৩৬ বলে ৫০ রানের ঝড়ে ছিটকে যায় ডাম্বুলা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে তাওহিদ অসাধারণ এক থ্রোতে ধনঞ্জয়াকে রান আউট করলেও হার এড়াতে পারনি ডাম্বুলা। ইনিংসের শেষ বলে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ফ্যাবিয়ান প্যালেন ছক্কা মেরে জাফনার জয় নিশ্চিত করেন।