জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেতে হলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। অবশ্য তাদের অল্প লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেগ পোহাতে হয় খুলনা টাইগার্সকেও। তবে আফিফ হোসাইন ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ধৈর্যশীল ইনিংসের পর ফাহিম আশরাফের ফিনিশিংয়ে ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে তারা।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম করে ১২১ রান। জবাব দিতে নেমে ১৮.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে খুলনা। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ১৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন আভিস্কা ফার্নান্দো। তিনি স্টাম্পিং হওয়ার পরের বলেই ইমরানুজ্জামানকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান নাহিদুল ইসলাম। সেটি তিনি পাননি, উল্টো পরের ওভারে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তানজিদ হাসান তামিম। ওই ওভারে ১৯ রান নেন তিনি। কিন্তু আবার বোলিংয়ে এসে উইকেট এনে দেন নাহিদুল ইসলাম। এবার ১৩ বলে ১৯ রান করা তানজিদকে করেন এলবিডব্লিউ। ৩০ রানের ভেতর তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম। আগের দিন হাফ সেঞ্চুরি করা শাহাদাৎ হোসেন দীপুও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০ বলে ৬ রান করার পর নাসুম আহমেদ তাকে বোল্ড করেন। অনেক্ষণ উইকেটে থাকা নাজিবউল্লাহ জাদরানকেও ফেরান নাহিদুল বোলিংয়ে এসে। ২২ বলে ২৪ রান করে হাবিবুর রহমান সোহানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে শহিদুল ইসলামের ব্যাটে। ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ৪০ রান করে আউট হন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন নাহিদুল। এছাড়া তিনটি উইকেট পান ফাহিম আশরাফ। রান তাড়ায় নেমে সুবিধা করতে পারেনি খুলনা টাইগার্সও। শুরুতেই ১২ রান করে বিদায় নেন এভিন লুইস। ৯ রানে উইকেট হারান দলের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। একই রানে বিদায় নেন তিনে নামা শাই হোপও। চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন আফিফ ও জয়। দুইজন মিলে করে ৫১ বলে ৪৬ রান। ২৬ রানে আফিফকে ফিরিয়ে বেকথ্রু এনে দেন নিহাদুজ্জামান। জয়ও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৪৪ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে উইকেট হারান তিনি। শেষদিকে ফাহিম আশরাফের অপরাজিত ১৫ রানে জয় তুলে নেয় খুলনা।