জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেছেন, দ্বন্দ্বে কোনো আনন্দ নেই, আপস করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে কোনো চিন্তা নেই। দেশের বিদ্যমান আদালতসমূহ মামলার ভারে ভারাক্রান্ত। ফলশ্রুতিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের প্রত্যাশিত বিচার কার্যক্রমে অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব হচ্ছে। যা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অন্তরায়। বিচারপ্রার্থী জনগণের আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করে। আইনের শাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধ্যতামূলক এডিআর কার্যক্রম সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
গতকাল বুধবার ফটিকছড়ি চৌকি আদালত আইনজীবী সমিতি অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘আদালতে মামলাজট হ্রাসকল্পে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রমের সম্প্রসারণ : প্রেক্ষিত লিগ্যাল এইড অফিস’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড এখন শুধু আইনি সহায়তা সেবার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বিরোধ মীমাংসার অন্যতম কেন্দ্রস্থল। লিগ্যাল এইড এডিআরের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে প্রতিকার পাচ্ছেন অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণ। আদালতের বিদ্যমান মামলাজট হ্রাসকল্পে লিগ্যাল এইড অফিসের মধ্যস্থতা কার্যক্রম কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। সরকার আদালতের বিদ্যমান মামলাজট হ্রাসকল্পে কাজ করছে। লিগ্যাল এইড অফিসকে বিরোধ মীমাংসার কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এ কার্যক্রম অধিকতর ফলপ্রসূ ও সেবাবান্ধব করার প্রয়াসে বিচারক, আইনজীবী এবং সুশীল সমাজ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার (বিচারক) রুপন কুমার দাশ। ফটিকছড়ি চৌকি আদালত লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ শুভ দীপ পালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের, অতিরিক্ত জেলা জজ সাউদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আবদুল হালিম, সিনিয়র সহকারী জজ আরফাতুল রাকিব, ফটিকছড়ি আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. লিয়াকত আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জহুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আল–হুরাইন তাজ মিহির প্রমুখ। পরে অতিথিবৃন্দ চৌকি আদালতে লিগ্যাল এইড কর্নার উদ্বোধন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











