কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই হামলার সময় দোহায় বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাশাপাশি দূর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। কাতার এ হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ ও ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
হামলার পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলে, হামাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যার লক্ষ্যে ওই হামলা চালিয়েছে তাদের বিমান বাহিনী। সেই হামাস নেতাদের নাম প্রকাশ না করে ইসরায়েল বলেছে, বহু বছর ধরে তারা সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। হামাসকে নির্মূল করতে এরকম আরো হামলা চালানো হবে। খবর বিডিনিউজের।
এই হামলা এমন সময়ে ঘটল, যখন কয়েক দিন আগে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান আইয়াল জামির বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। আর তার কয়েক ঘণ্টা আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেয়ন সা’আর বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ইসরায়েল মেনে নিয়েছে।
হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা আল জাজিরাকে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করার সময় দোহায় দলটির নেতাদের নিশানা করা হয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল–আনসারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর কয়েকজন সদস্য যে ভবনে ছিলেন, সেখানে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন তারা। এই হামলা আন্তর্জাতিক সব আইন ও বিধির প্রকাশ্য লঙ্ঘন, পাশাপাশি কাতারের নাগরিক এবং কাতারে বসবাসরতদের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের এই বেপরোয়া আচরণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে লাগাতার ছিনিমিনি খেলা কাতার সহ্য করবে না। কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে নিশানা করা হলে তা বরদাশত করা হবে না।
আল জাজিরা লিখেছে, ইসরায়েল দোহার যে জায়গায় হামলা করেছে, সেটি একটি আবাসিক এলাকা। দোহায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, তারা মিসাইল হামলার খবর পেয়েছে এবং দোহায় মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে। তবে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি এই হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।












