সরকার পতনের এক দফা দাবির পক্ষে মাথায় লাল পিতা বেঁধে দোহাজারী পৌরসভা সদরস্থ চট্টগ্রাম–কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কে গতকাল বেলা ১১টা থেকে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিতে শুরু করে। সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ আন্দোলনকারী সমবেত হয়ে সরকার পতনের ১ দফা দাবির পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় এবং বিক্ষোভ করে। আসার সময় তারা দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায়। এসময় পুলিশ সদস্যরা গেটে তালা লাগিয়ে আত্মরক্ষার জন্য ভিতরে অবস্থান নেয়। পরে আন্দোলনকারীরা দোহাজারী সদরে আধা ঘণ্টা অবস্থানের পর চলে যাওয়ার সময় পুনরায় দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রে হামলা করতে চাইলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা ব্যাংক এশিয়া দোহাজারী শাখায় হামলা চালায়। ব্যাংকের সামনের গ্লাস ভাঙচুর করা হয় এবং দোহাজারী সিটি সেন্টারের সামনে পার্কিং করে রাখা ৬/৭ টি গাড়ি ভাঙচুর করে চলে যায়। পরে দেওয়ানহাট এলাকায় দোহাজারী পৌরসভার ময়লা ফেলার গার্ভেজ ভ্যানটিও ভাঙচুর করে। এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মারজাদুল ইসলাম চৌধুরী আরমানসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা দোহাজারী আসার পথে দেওয়ানহাট এলাকায় আন্দোলনকারীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে জানান দোহাজারী পৌরসভার মেয়র মো. লোকমান হাকিম। এসময় আলমগীর ও আরমান গুরুতর আহত হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আলমগীরকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও হামলার সময় ২ জন আন্দোলনকারী ও একজন ভ্যান চালক আহত হয়। আহতরা হলো সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের মো. মুছার ছেলে মো. রাকিব (২০), দোহাজারী ফুলতলা এলাকার নুর কবির ছেলে মো. আমিন (২২) এবং বাগিচাহাট এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে ভ্যান চালক মো. জসিম (৪৫)। তার হাত ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাদের দোহাজারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এর পরপরই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
একদফা দাবিতে রোববার সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।