চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ভাঙচুরের ঘটনায় মানববন্ধন ও র্যালি করেছে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রশাসন। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর আবুল মনছুরকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিরেক্টর ড. জারিন আক্তার, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট ড. তড়িৎ কুমার বল, চবি কলেজ পরিদর্শক শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী ও সহকারী প্রক্টর এস এ এম জিয়াউল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সিনেট কক্ষে এক জরুরি সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান ও প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে মাস্টার দা সূর্যসেন হল, ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবন ও ক্যান্টিনে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেয়া নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ এপিটাফ ও সিঙটি নাইনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনের ১৩ কক্ষ, শিক্ষকদের ৫টি কক্ষ ও ২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যেই দোষ করে থাকুক, কেউ ছাড় পাবে না। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।












