হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব আজ। বাংলাদেশে এই উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’, ‘দোল পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত। দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এ দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাধা–কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন।
বিশ্বের অনেক স্থানে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। কোন কোন স্থানে এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা–কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। সারাদেশে সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত এ উৎসব চলবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পরস্পরকে আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করবেন।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ : আজ বিকেল ৫ টায় জে এম সেন হলে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৮তম আর্বিভাব তিথি গৌরপূর্ণিমা যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপন করবে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ–চট্টগ্রাম জেলা শাখা। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিকাল ৫টায় আলোচনা সভা, সন্ধ্যা ৬টায় গৌরপূজা, আবিরদান, পদাবলী কীর্ত্তন, নৃত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রসাদ বিতরণ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন সীতাকুণ্ড শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।












