দৈনিক আজাদী বিরাজমান থাকুক কোটি মানুষের হৃদয়ে

আইরিন সুলতানা | বৃহস্পতিবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

এক মহাসমুদ্রের ঢেউ যেমন চিরস্থায়ী, যা অস্বীকার করার মতো নয়; তেমনি সূর্যের রক্তিম আভায় পূর্ব দিগন্ত ছুঁয়ে যায় দৈনন্দিন নিষ্কলুষ কর্মনীতিতে। এই নীতির সত্য মহা চলমান। তেমনি দৈনিক আজাদীও ৬৪ পেরিয়ে এক নিষ্কলুষ ধারাপ্রবাহে অরুণ প্রাতের তরুণ দীপ্তিতে দীপ্তমান। বাংলার স্বাধীন দেশের প্রথম পত্রিকা দৈনিক আজাদী। ১৯৬০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কীর্তিমান ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের মাধ্যমে তারুণ্যে ভরা এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিকাশ ঘটে। ৬৫ বছরে এসে এম এ মালেকের পৃষ্ঠপোষকতায় দৈনিক আজাদীর এই তারুণ্য এতটুকু কমেনি। বরং সভ্যতার নানা চড়াইউৎরাই পেরিয়ে সারা দেশের মানুষের হৃদয়ের মণিকোটায় স্থান করে নিয়েছেন। একঝাঁক কর্মদক্ষ সুনিপুণ জনবলের কর্মনিষ্ঠার ফসল দৈনিক আজাদী। জনপ্রিয়তা ও পাঠকনন্দিত হয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আজও বিরাজমান। চট্টগ্রামের পত্রিকা হয়েও জাতীয় দৈনিকের মতো সাড়া ফেলেছে পুরো বাংলাদেশের হৃদমাজারে। বিশেষ করে প্রভাতে চট্টগ্রামের বেলা বিস্কুট চা আর দৈনিক আজাদী যেনো ভক্তদের প্রতিদিনকার রুচিশীল অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তবাক চর্চার ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে দৈনিক আজাদী। একবিংশ শতাব্দীর তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষে দৈনিক আজাদীকে বতর্মানে অনলাইন ও ইপেপার ভার্সনে পড়তে পারছেন পাঠকেরা।

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে এই পত্রিকার উপসম্পাদকীয় কলাম, জাতীয়, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, বিনোদন, লাইফস্টাইল, সুখে দুখেসহ নানা দৃষ্টিনন্দন বিষয়সমূহ পাঠকনন্দিত করেছে। তাছাড়া আজাদীর মাধ্যমে অনেক সম্ভাবনাময় সৃষ্টিশীল ক্ষুদে লেখক তাদের সাহিত্যচর্চার একটি প্লাটফর্ম খুঁজে পেয়েছেন। সাহিত্যচর্চার উত্তম পাথেয় হিসেবে দৈনিক আজাদীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সবশেষে সাফল্যের অভিষ্ট লক্ষ্যে পদার্পণ করুক দৈনিক আজাদী। উজ্জ্বল কর্মজজ্ঞে সত্যের প্রকাশ বিরাজমান থাকুক কোটি মানুষের হৃদয়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদৈনিক আজাদীর ৬৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে কিছু কথা
পরবর্তী নিবন্ধবৈষম্যহীন সমাজ ভাবাদর্শ সাধারণ জনগণের স্বপ্ন