দৈনিক আজাদী : নিরন্তর ভোরের প্রত্যাশায় অবিচল

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ | বৃহস্পতিবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক পাঠকনন্দিত আজাদী পত্রিকার ৬৫তম বর্ষে পদার্পণে অজস্র অভিনন্দন। খ্যাতিমান কবি আহসান হাবীব’র কবিতা ‘আমি আছি’ কবিতার পংক্তি উপস্থাপনে নিবন্ধের সূচনা নিবেদন করছি। ‘আমি কোনো অভ্যাগত নই/ খোদার কসম আমি ভিনদেশী পথিক নই/ আমি কোনো আগন্তুক নই।/ আমি কোনো আগন্তুক নই, আমি ছিলাম এখানে,/ আমি স্বাপ্নিক নিয়মে এখানেই থাকি আর/ এখানে থাকার নাম সর্বত্রই থাকাসারা দেশে।’ যথার্থ অর্থে এটুকু দাবি করা অমূলক নয় যে, আজাদী পত্রিকা চট্টগ্রামে কোনো অভ্যাগত অতিথি নয়। ভিনদেশী কোনো পথিকও নয়। চিরায়ত ধারাবাহিকতায় মাটি ও মানুষের মমত্ববোধে সঞ্চারিত সমীকরণে দৈনিক আজাদীর অনুপম প্রকাশ। চট্টগ্রামের পত্রিকা হয়েও সারাদেশে এর ব্যাপ্তি নতুন মাত্রিকতায় সমৃদ্ধ। রাতের অন্ধকারকে ভেদ করে প্রত্যাশিত ভোরের আলোয় উদ্ভাসিত দৈনিক আজাদী শুধু জনপ্রিয় পত্রিকা নয়, সামগ্রিক বিবেচনায় দেশের সংবাদ মাধ্যমসমূহের মধ্যে অগ্রগণ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ।

কবি আহসান হাবীবের উপরোল্লেখিত কবিতা থেকে দৈনিক আজাদীর সম্ভাষণে যেন উচ্চারিত ‘আজন্ম তোমার সঙ্গী, স্বপ্নে আছি সংগ্রামেও আছি/ আমি সঙ্গে থাকি তাই সঙ্গীতসভায় বাজে করতালি/ সঙ্গে থাকি সামনে থাকি তাই রুদ্ধ উৎসবতোরণ কেঁপে কেঁপে উঠে।’ মূলত এমন সময়ে দৈনিক আজাদী প্রকাশ পেয়েছে তখন ছিল সংবাদ মাধ্যমের ক্রান্তিকাল। একদিকে বিস্তৃত স্বপ্ন নিয়ে জাতির সংগ্রামমুখর পরিক্রমা। মাতৃভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনসংগ্রামের নির্ভীক সাংবাদিকতায় উচ্চকিত ছিল দৈনিক আজাদী। ১৬ই ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের উষালগ্নে দৈনিক আজাদীর প্রকাশ ছিল অভূতপূর্ব যুগান্তকারী ঘটনা। যতদিন পৃথিবী নামক এই গ্রহে বাংলাদেশের নাম সমুন্নত থাকবে, আজাদী পত্রিকাও একইভাবে সহযাত্রী থাকবে।

এটি সর্বজনবিদিত যে; বৈশ্বিকজাতীয় ও আঞ্চলিক উন্নয়নঅনুন্নয়ন পর্যালোচনায় গণমাধ্যম সংস্কৃতির অভীষ্টতম অনুষঙ্গ হিসেবে সর্বত্রই বশবর্তিতা। গণমাধ্যমের নবতর বিকাশ, বিস্তার, বিতরণ, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন তথ্য বিপ্লবের যুগসন্ধিক্ষণে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। লুম্পেন বিশ্বায়নের মোড়কে বৈশ্বিক সংস্কৃতির কাঠামো, প্রযুক্তি, বিনোদন, মুদ্রিত উপাদান, সাহিত্য, চিত্রকলা, বেতার, টেলিভিশনসহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি চলমান সভ্যতার বশীভূত সংযোজন। সংস্কৃতির বস্তু ও অবস্তুগত প্রবাহের জটিল মিথস্ক্রিয়ায় সততানৈতিকতাসত্যবাদিতাশুদ্ধাচার আপেক্ষিক পরিশুদ্ধ সমাজে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত। সুনিপুণ পরিকল্পনায় একদিকে নির্মিত হয়েছে আগ্রাসনবৃত্ত, অন্যদিকে পর্যুদস্ত ঐতিহ্যকৃষ্টির ভৈরবী। বৃহত্তর সমাজের বৈষম্যের বিভাজিত যুগপৎ সংকট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অর্থনৈতিক আধিপত্যবাদকেই পক্ষান্তরে উন্মোচিত করেছে নির্ভরশীলতার নতুন কদর্য দিগন্ত।

আধুনিক সভ্যতার উপাগত বিকাশ ও বিস্তার মানদন্ডে গণমাধ্যম কোন নির্দ্দিষ্ট ভূখন্ড নয়; সমগ্র বিশ্বে ‘ছায়াসরকার’ অভিধায় ভূষিত। সমাজের বৃহত্তর পরিসরে সুচিন্তিত জনমতযৌক্তিক সচেতনতা সৃষ্টি ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পৃথিবী নামক এই গ্রহকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও মানবিক করার লক্ষ্যেই গণমাধ্যমের ভূমিকা সর্বত্রই সমাদৃত। মহাত্মা গান্ধীর মতানুসারে ‘ভারতবর্ষের সর্বাগ্রে’ দেশের প্রবেশদ্বার ও বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের বিশ্বনন্দিত এই জনপদের নাম চট্টগ্রাম। অফুরন্ত সমাজইতিহাস সমৃদ্ধ এই চট্টগ্রামের অখন্ডঅক্ষুব্ধ অনুবর্তনে দৈনিক আজাদী প্রকাশনার নিরবচ্ছিন্ন ৬৪ বছরের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় উচুঁমার্গের মাইলফলক হিসেবে অনুসৃত। একই ধারাবাহিকতায় নিঃসঙ্কোচে বলা যায়; ৬৫ বছরের জ্যোতির্ময় পদার্পণে দৈনিক আজাদী শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো দেশ ও বহির্বিশ্বের সকল বাঙালির কাছে নান্দনিক দৃশ্যপটে সুপ্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম। বর্ষপূর্তির এই দিনে পত্রিকার সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা; নির্মোহনির্লোভত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ক্ষণজন্মা, জনকল্যাণ মানস তৎকালীন খ্যাতিমান বিদ্যুৎ প্রকৌশলী প্রয়াত আবদুল খালেকসহ প্রতিষ্ঠাকালীন সকল সাংবাদিক ও কলাকুশলীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিনকার সূচনা প্রহরে দৈনিক আজাদী পাঠ এবং নির্যাসকে ধারণ করেই চট্টগ্রামবাসীর সুখের নিদ্রায় রাত্রিযাপন পূর্ণতা পায়। ভোরের আলোর প্রত্যাশার সাথেই সম্পৃক্ত থাকে দৈনিক আজাদীর পাঠোদ্ধার। স্বাভাবিকভাবেই এটি চট্টগ্রামের অত্যুজ্জল ঐতিহ্যকৃষ্টিসংস্কৃতির প্রণিধানযোগ্য বাহন হিসেবে সমধিক জনপ্রিয় ও বরণীয়। প্রাসঙ্গিকতায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘মাঙ্গলিক’ কবিতার কয়েকটি পংক্তির উচ্চারণ; অত্যন্ত বৈরী সামাজিকরাজনৈতিক পরিবেশে আজাদী পত্রিকার আবির্ভাব ও দীর্ঘ পদচারণার কৃতার্থ অভিবাদনের উদ্দেশ্যেই জ্ঞাপন করা যেতে পারে -‘ভোরের বেলায় পূবগগনে সূর্য্যিঠাকুর দেন উঁকি / বলেন, অলস জড়ের মতন ব’সে ব’সে করছ কি?/ আমার আকাশমায়ের কোলে জাগি আমি ভোর বেলায়,/ আমার হাসির উচ্ছলতা বনে বনে ফুল ফোটায়।/ ক্রমেই যত উর্ধ্বে উঠি ততই আমি হই প্রখর,/ শক্তিতেজের উজল দ্যুতি ছড়াই বিশ্বভুবন ’পর।/ রঙে রঙে রাঙাই আকাশ, যখন সাঁঝে অস্ত যাই,/ ত্রিলোক মলিন মোর বিদায়ে, যাবার বেলা দেখতে পাই।/ তোমার জীবন এমনি হ’বে শৈশবে আনন্দময় ;/ যেথায় যাবে, সেথায় যেন নূতন প্রাণের লহর বয়!’ পত্রিকা প্রকাশের পটভূমি এবং অত্যধিক সত্যনিষ্ঠতার নান্দিপাঠ নিবেদন না করলে এর অবদান বর্তমান সময়ে বিশেষ করে তরুণ পাঠক সমাজের হৃদয়ের গভীর উপলব্ধিতে প্রোথিত করা যাবে না।

কালের পরিক্রমায় বিশ্বায়নদমিত শতাব্দীতে বিজ্ঞানপ্রযুক্তি ও শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষতা সামগ্রিকভাবে বিশ্বজনগণের জীবন মান উন্নয়ন, নগরায়ণ, শিল্পায়ন, দারিদ্র বিমোচন তথা টেকসই আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং এর প্রচার প্রসারের ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবতাবাদী জনমুখী ও প্রগতিশীল দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ উন্নয়নে মননশীল, যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের বহুমুখী ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম অগ্রগন্য চালিকা শক্তিরূপে সুদৃঢ়। উল্লেখ্য আচ্ছাদনে দৈনিক আজাদীর অবস্থান বরাবরই একাশ্রিত দীপ্যমান। আমাদের অনেকেরই জানা যে, খ্যাতিমান গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জেম্‌স হিকী, চার্লস ম্যাকলিয়েন, জেমস্‌ সিল্ক বাকিংহাম প্রমুখ ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে জনগণের প্রিয়ভাজন হলেও শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ে নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপরেও বহু অপরিমেয় ঘটনা রয়েছে; যাতে শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারঅনাচারনির্যাতননিপীড়ন সংবাদ কর্মীদের কলম ও বাক্যরুদ্ধ করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল।

উপরোল্লেখিত শোষণবঞ্চনার নাতিদীর্ঘ উদাহরণ পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই আমাদের পর্যবেক্ষণ ও আত্মস্থ করতে হয়েছিল। ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শীর্ষক ভাষা অন্দোলনের অলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রথম পুস্তিকাটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর। এই পুস্তিকাটি প্রকাশের উদ্যোক্তা ছিলেন চট্টগ্রামের অন্যতম কীর্তি পুরুষ অধ্যাপক আবুল কাশেম। ‘বাংলা ভাষাই হবে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার বাহন, আদালতের ভাষা ও অফিসাদির ভাষা’ অধ্যাপক আবুল কাশেমের বইয়ের মুখবন্ধে এই ভাবেই তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন। চট্টগ্রামের বুকে হালদা নদীর কাছে পাকিস্তান সৃষ্টির পর পরই মাদার্শার টেকে পাকিস্তানীরা প্রথম যে গণহত্যা সংঘটিত করেছিল, এই হত্যার প্রতিবাদ ও ঘটনা পরম্পরায় বস্তনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করার জন্য দৈনিক পূর্ব পাকিস্তানের সম্পাদক আবদুস ছালামকেও অর্থদন্ড ভোগ করতে হয়েছিল।

মাতৃভাষার দাবিতে ঢাকায় শহীদদের আত্নত্যাগের স্মরণে রচিত চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান মাহবুবউলআলম রচিত কবিতাটি প্রথম ছাপানো হয় চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার সূতিকাগার কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস থেকে। এ পুস্তিকাটি ছিল একুশের প্রথম সংকলন। এই প্রেসের স্বত্বাধিকারী দৈনিক আজাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের অনুমতিক্রমে তৎকালীন প্রেস ম্যানেজার দবির আহম্মদ চৌধুরী প্রচন্ড সাহসীকতার সাথে এই কবিতাটি ছাপানোর দায়িত্ব নেন। ফলস্বরূপ পাকিস্তান সরকার পুস্তিকাটি বাজেয়াপ্ত করে কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেসের কাজ বন্ধ এবং দবির উদ্দিন সাহেব ছয় মাস কারাবরণ করেন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’ গ্রন্থ থেকে কিছু অমিয় বাণী উল্লেখ করতে চাই ু ‘সদা সত্য কথা কহিবে। যে সত্য কথা কয়, সকলে তাহাকে ভালবাসে। যে মিথ্যা কথা কয়, কেহ তাহাকে ভাল বাসে না, সকলেই তাহাকে ঘৃণা করে।’— ‘আমি যে সময়ের যে কাজ, সে সময়ের সে কাজ করি। এজন্য বাবা আমাকে ভালবাসেন। আমি তাঁর কাছে যখন যা চাই, তাই দেন। যদি আমি এখন, পড়িতে না গিয়া, তোমার সহিত খেলা করি, বাবা আমাকে আর ভালবাসিবেন না।’ এসব অমূল্য চেতনা শাণিত বক্তব্যগুলোকে নুন্যতম আমলে নেয়নি বলেই বিশ্ব সভ্যতা উন্নতির চরম শিখরে পোঁছেও আদর্শিক ও নৈতিকতায় প্রচন্ড এক পশ্চাৎপদ অবস্থানে রূদ্ধ হয়ে আছে। মানুষের বিশ্বাসচিন্তাচেতনাভাবনার মূলে রয়েছে সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, ধর্মের মৌলিক মেলবন্ধন এবং বিশ্বমানবতাবাদে উজ্জীবিত অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, সত্যসুন্দরকল্যাণ ও আনন্দের জাগতিক সংযোগ উৎকর্ষতা।

দৈনিক আজাদী শহর, নগর ও গ্রামীণ জনপদের সকল ধরণের সংবাদ, বিজ্ঞাপন, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, খেলাধুলা, শিক্ষাসংস্কৃতিসাহিত্য, নৃত্য, বিতর্ক, গান, আবৃতি বিশেষ করে শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পকিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, গবেষণা, সেমিনারসিম্পোজিয়াম ইত্যকার বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে প্রচার করে থাকে। দলমতধর্মবর্ণলিঙ্গঅঞ্চলগোত্র নির্বিশেষে আজাদীর পরিবেশনা অসাধারণ। রুচিশীল কৃষ্টি, ঐতিহ্য, চারুশিল্প, চলচিত্রের প্রকাশ ও বিনোদন প্রকাশের দৃষ্টিভঙ্গীও অনবদ্য। চমৎকারভাবে সুপঠিত এবং সুলিখিত শুধু কালো কালির মধ্যে নয় প্রিয় সংবাদ কর্মী ও সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধকার, প্রতিবেদকের লেখনিতে এই পত্রিকার সত্যনিষ্ঠতার পরিচয় পাওয়া যায়। দৈনিক সংবাদ পরিবেশনার ক্ষেত্রে সমসাময়িক, সাধারণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক, বিভিন্ন অপরাধমূলক, সামাজিক, সাংগঠনিক সংবাদসহ ইত্যাদি সংবাদসমূহ বিশেষভাবে বিবেচিত। পত্রিকায় নিয়মিত সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় ছাড়া উল্লেখিত নানা সংবাদ দৈনিক আজাদীর বহুমাত্রিক উদ্যোগ যথার্থ কার্যকারিতা পেয়েছে।

দৈনিক আজাদীর বর্ষপূর্তির এই দিনে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা পরম শ্রদ্ধেয় ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, জাতির বিবেকমহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকবাংলাদেশের পবিত্র সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, সবেক সাংসদ ও পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, নির্যাতিত ম্যানেজার দবির উদ্দিন, প্রকাশকাল থেকে আজাদী পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রয়াত কলমযোদ্ধা, সকল স্তরের কর্মকর্তাকর্মচারীহকারসহ সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মহান স্রষ্টার কাছে তাঁদের আত্মার শান্তি প্রার্থনা করছি। নিরপেক্ষবস্তুনিষ্ঠ নয়; সত্যনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহপরিবেশনসৃজনশীল প্রবাহ সৃষ্টি করে গণমাধ্যমের মর্যাদাকে সমাসীন করার অন্যতম প্রবক্তা বর্তমান আজাদীর সম্মানিত সম্পাদক একুশে পদকপ্রাপ্ত জনাব এম. . মালেক, অপরাপর সাংবাদিক, পত্রিকা সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিত্ব, সম্মানিত পাঠক বিশেষ করে তরুণ পাঠকদের প্রতি অজস্র অভিনন্দন এবং আজাদী পত্রিকার অদম্য অগ্রযাত্রার শুভ কামনা করছি।

লেখক: শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধড. মঈনুল ইসলামের কলাম
পরবর্তী নিবন্ধচাটগাঁর মুখপত্র দৈনিক আজাদীর সাথে আমার সম্পর্ক আত্মীক