দৈনিক আজাদী আজ ৬১ বছরের প্রাজ্ঞ। গণমানুষের ভালোবাসায় ঋদ্ধ এবং সমৃদ্ধ। দেশের অন্যতম প্রবীণ এই সংবাদপত্র। এতদঞ্চলের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির অন্যতম ধারক। প্রকাশনার শুরু থেকে শিক্ষা শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসারে অনন্য দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে এই পত্রিকা। লেখক এবং সংবাদ কর্মী তৈরির কারিগর দৈনিক আজাদী। আঞ্চলিকতা আর আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধরূপে আজাদীর ভূমিকা দৃষ্টান্তস্বরূপ। অসাম্প্রদায়িক শুদ্ধ চেতনার বাতিঘর আজাদী। আন্দোলন সংগ্রামে নিয়ত পথ দেখিয়েছে প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের। সংকটের জট খুলতে সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্তকরণে আজাদী এগিয়ে এসেছে দৃঢ সাহসিকতায়। মর্যাদাময় দৃপ্ত পদচারণায় স্বমহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আজ গৌরবের বাষট্টি বছরে যা নাগরিক এবং পাঠক হিসেবে অহংকারের। জ্ঞানের প্রদীপ্ত শিখায় নিয়ত প্রজ্জলিত করে রেখেছে পাঠকদের। তত্ত্ব ও তথ্যানুসন্ধানী জ্ঞানপিপাসুদের কখনো বিমুখ করেনি দৈনিক আজাদী। চট্টগ্রামের সমস্যা সম্ভাবনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার সাহসী যোদ্ধা দৈনিক আজাদী। গণমানুষের অনুভূতি অনুভবে নিয়ে তার চলন এবং প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার বটবৃক্ষ দৈনিক আজাদী। আলোকিত প্রাজ্ঞজন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেক শুদ্ধ চেতনার চৈতন্য ঘটাতে যে প্রদীপ প্রজ্জলন করেছেন, তার আলোয় ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র আজ আলোকিত। বাষট্টি বছরের নিরবচ্ছিন্ন পথচলায় সৃজনে মননে আজাদী প্রাগ্রসর মহীরুহ। একটি দৈনিক বাষট্টি বছরে উন্নীত হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। সম্ভব হয়েছে গণমানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর শুভ কামনায়। নিরন্তর শুভ কামনা প্রিয় সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী।