এনএনবিতে (নিউজ নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ) কাজ করা কালে ওই বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে সংবাদ ছাপাতো দৈনিক আজাদী। থাকতো না প্রতিবেদকের নাম। সেই আক্ষেপ পূরণ করার লক্ষ্যে ২০০৫ সালের দিকে পত্রিকাটির বিভিন্ন বিভাগে লেখালেখি শুরু।
২০০৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর ছাপা হয়েছিল দৈনিক আজাদীর প্রথম পাতায়, সঙ্গে সহকর্মীর ছবি। ছিল প্রধান শিরোনাম। বিশেষ অনুরোধে আজাদীর চিত্র সাংবাদিক পাঠাননি আমার আহত অবস্থার ছবি।
প্রকাশনার ৫৭ বছরে সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক আয়োজন করেছিলেন লেখক সম্মিলন। যোগ দিয়েছিলাম আমিও।
‘আজমিশালী’ ও ‘নারী’ পাতার বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন সানজিদা মালেক। আপা’র হাসিমুখে সম্ভাষণ এখনও চোখে ভাসে। ‘আনন্দন’, ‘আগামীদের আসর’ পাতায় ছাপা হতো রং–বেরঙের নানান লেখা।
১৯৯৫ থেকে ২০২৫। ৩০ বছর ধরে সপ্তাহে একটি করে অন্ত্যমিল লিখে চলেছেন সহযোগী সম্পাদক, ছন্দের জাদুকর কবি রাশেদ রউফ। এই অন্ত্যমিল পড়ার জন্যই পুরো সপ্তাহজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন পাঠক।
‘নগর–মহানগর’ পাতা ছিল বেশ পাঠকপ্রিয়। বিভাগীয় সম্পাদক প্রদীপ দেওয়ানজী লেখার সুযোগ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন শত শত লেখক। ২০০৯ সালে ‘সন্তানের জন্য মায়ের সংগ্রাম’ ফিচার প্রকাশের পর ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান যোগাযোগ করেন আজাদী কার্যালয়ে। চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর ফোন করে সেই মা–সন্তানকে নিয়ে আসতে বললেন। সেখানে তাদের দেওয়া হলো হুইলচেয়ার, নগদ অর্থ। ২০১০ সালে ‘চল্লিশ বছর ধরে পত্রিকায় চিঠি লিখছেন সুমিত্র বিকাশ’, ২০১২ সালে ‘চুরি করা লাশ থেকে তৈরি হচ্ছে কঙ্কাল’ শীর্ষক প্রতিবেদন বেশ সাড়া জাগায়। দৈনিক আজাদীর ব্যবস্থাপক প্রয়াত এ এইচ এম মঈনুল আলম বাদল দিতেন লেখার সম্মানী। সংরক্ষণের অভাবে অনেক লেখা হারিয়ে গেছে, সংগ্রহে আছে কিছু। তার কিয়দংশ দিয়েই পুরনো স্মৃতি রোমন্থনের চেষ্টা। দৈনিক আজাদী ৬৬ বছরে পদার্পণ করেছে, যাত্রা হোক দীর্ঘ।
লেখক : সাংবাদিক